চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে চরম ভোগান্তি, আগুন জ্বালিয়ে যাত্রীদের বিক্ষোভ

ঈদযাত্রায় আজ রোববারও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটে নাকাল হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঘরমুখী মানুষ। এই অবস্থায় কিছু বিক্ষুব্ধ যাত্রী সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন, ফলে আরো বেড়ে যায়  যানজট।

মধ্যেরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কার্যত প্রায় অচল হয়ে পড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের পাকুল্ল্যা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু প্রান্তের প্রায় ৪০ কি.মি সড়ক। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়কের অন্ততপক্ষে দশটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ভোগান্তির মাত্রা আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। পরে সকাল দশটার দিকে ধীর গতিতে যান চলাচল শুরু হলে কিছুটা শান্ত হয় ঘরমুখী মানুষ।

গত চব্বিশ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার যানবাহন পারাপার করেছে কতৃপক্ষ।  গত দিনের চেয়ে এক হাজার কম ও বিগত বছরের ঈদের আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার বেশি। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৭০ কি.মি অংশের বিভিন্নস্থানে দেখা দেয় তীব্র যানজট। কোথাও কোথাও তা টানা দীর্ঘ ৪০ থেকে ৫০ কি.মি এলাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর ফলে এই অংশ পাড়ি দিতেই সময় লাগছে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা! একদিকে যানজট অন্যদিকে তীব্র তাপাদহের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। মহাসড়কের কোন অংশেই বৃক্ষরাজি না থাকায় প্রখর রোদে তাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারী-শিশু ও বয়স্করা।

পানীয় জল ও খাদ্য সংকটে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন  যাত্রীরা। পয়:নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অমানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে নারী যাত্রীদের।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা কোন কাজেই আসেনি বলে পরিবহণ চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেও দায়ী করেন তারা।

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, ভারী বর্ষণ ও দুর্ঘটনায় মহাসড়কে গাড়ি বিকল, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ও বঙ্গবন্ধু সেতুতে কয়েক দফা টোল আদায় বন্ধ এবং সিরাজগঞ্জ অংশে সরু ব্রীজ ও সড়কে খানাখন্দ থাকায় গাড়ির স্বাভাবিক গতি ব্যহত হওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি বলে দাবি প্রশাসনের। অবস্থা মোকাবেলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তারা।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ ৭ শতাধিক সদস্য ও সকল কর্মকর্তাই মাঠে থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তবে দফায় দফায় দীর্ঘ সময় করে টোলপ্লাজা বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বরাবরই বেগ পেতে হচ্ছে। এরপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। গাড়ির চাপ অনেকটা কমে এসেছে। ধারণা করছি বেলা একটার মধ্যে মহাসড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।