ঢাকার জলাবদ্ধতার জন্য ‘ঢাকা ওয়াসা’ই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসা হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত। অথচ তারা লাখ টাকার নর্দমা মেরামত করার ক্ষেত্রেও অর্থ সংকটের অজুহাত তুলে দায়িত্ব এড়িয়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ৫ দিনের ‘ঢাকা উৎসব-২০১৭’ উদ্বোধন করে এসব মন্তব্য করেন মেয়র সাঈদ খোকন। এসময় জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাভুক্ত করার দাবি জানান তিনি। নাহলে ওয়াসার ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন মেয়র সাঈদ খোকন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে উৎসবের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের অনেক সমস্যা, সংকট ও সীমাবদ্ধতা আছে। এই শহরকে অনেক সংগঠন, সংস্থা বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় রাখে। কিন্তু এরপরও আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি। এই শহরকে একটি আধুনিক তারুণ্য নির্ভর শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
সাঈদ খোকন বলেন, এই শহরকে আমরা মায়ের মতো ভালোবাসি। তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন, আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলা। একজন মেয়রের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়।
তাই তিনি সুশীল সমাজ এবং তরুণদের সম্মিলিতভাবে উদ্যােগ নেয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য দক্ষিণের মেয়র পৃথক বাইসাইকেল লেন তৈরি করারা ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে তিনি ২০১৭ সালের মধ্যে ঢাকা শহরে ১২টি খেলার মাঠ, ১৯ টি পার্ক নির্মাণ করার কথা বলেন।
এসময় মেয়র ঢাকা শহর পরিচালনার ক্ষেত্রে ৫৬টি সংস্থার বাধার সম্মুখিন হতে হয় বলে মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ঢাকা আমাদের প্রিয় শহর, প্রাণের শহর। জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের সুযোগ-সুবিধা কম। তবুও আমরা ঢকাকে মায়ের মতো ভালোবাসি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইউনিভারসিটি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন।
ঢাকা উৎসব চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ৫ দিনের উৎসবে থাকছে বিতর্ক, বক্তৃতা, আবৃত্তি, নৃত্য, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতা। আর এতে অংশ নিচ্ছে ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।