কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেয়া ১৮৩ রানের বড় লক্ষ্যকে মামুলি বানিয়ে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতল খুলনা টাইগার্স। মুশফিকুর রহিমের দলের প্লে-অফ নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল তামিম-মাশরাফী-মাহমুদউল্লাহদের মিনিস্টার ঢাকার।
আগেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হয়ে যায় কুমিল্লার। লিগপর্বের শেষ ম্যাচে তারা নামে পরীক্ষা-নিরীক্ষার একাদশ নিয়ে। বিশ্রাম দেওয়া হয় ইমরুল কায়েস, লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমানকে।
সেরা দল নিয়ে না নেমেও ফাফ ডু প্লেসিসের সেঞ্চুরিতে ১৮২ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। খুলনার দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও মেহেদী হাসান ঝড় তুলে সহজ করে দেন জয়ের পথ। জয় থেকে যখন ১ রান দূরে তখন আউট হন মেহেদী। ৫৯ বলে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস।
ফ্লেচার ৬২ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। ক্যারিবীয় ব্যাটার ৬টি করে চার-ছয়ে সাজান মারকুটে ইনিংসটি।
৮ বল আগেই জয় তুলে নেয় খুলনা। ১৮২ রানে বিচ্ছিন্ন হয় দলটির ওপেনিং জুটি। মেহেদীর উইকেটটি নেন মইন আলি।
সোমবার প্লে-অফে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লার বিপক্ষে লড়বে ফরচুন বরিশাল। এলিমিনেটর ম্যাচ মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম-খুলনা। মিরপুরে আজ দুপুরের ম্যাচে সিলেটকে হারিয়ে প্লে-অফে ওঠে আফিফ-মিরাজদের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
অন্য দিকে শেষ ম্যাচে কুমিল্লা জয় পেলে ঢাকা প্লে-অফ নিশ্চিত করত। কিন্তু সেটিই হয়নি খুলনার দুর্দান্ত জয়ে।
নিয়মিত অধিনায়ক ইমরুলের পরিবর্তে দায়িত্ব নিয়েই আলো কাড়েন ডু প্লেসিস। অধিনায়কের শতকে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা তোলে ১৮২ রান।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ডু প্লেসিস। আসরে প্রথম বারের মতো সুযোগ পাওয়া পারভেজ হোসাইন ইমন ৭ বলে ৭ করে ফিরলে ভিক্টোরিয়ান্সরা তাদের প্রথম উইকেট হারায়। মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস।
তবে ম্যাচের আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক। ৫৪ বলে শতক হাঁকিয়ে ১০১ রানে নাভিন উল হকের বলে কাটা পরেন প্রোটিয়া। শত রানের ইনিংস টিতে ছিল ৩ ছয় ও ১২ টি চারের মার।
শেষটায় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝড়ো ১১ বলে ২০ রানের পুঁজিতে ভর করে খুলনাকে ১৮৩ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় কুমিল্লা। কুমিল্লার সংগ্রহ দাড়ায় ৫ উইকেটে ১৮২।
১ টি করে ভিক্টোরিয়ান্সদের উইকেট তুলেছেন ফরহাদ রেজা, মাহেদি হাসান ও নাভিন উল হক।