খল অভিনেতা হিসেবে ভারতীয় সিনেমার পরিচিত মুখ তরুণ অরোরা এখন বাংলাদেশে। তিনি অনন্ত জলিলের ‘নেত্রী দ্য লিডার’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করছেন। এই সিনেমাতেও তরুণকে দেখা যাবে নেতিবাচক চরিত্রে!
মানিকগঞ্জে শুটিং স্পটে বসে তরুণ অরোরার সাথে কথা হয় চ্যানেল আই অনলাইনের। এদেশে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার মিশ্রণে তরুণ অরোরা বলেন, ‘শুধু ভাষার পরিবর্তন ছাড়া ভারত বাংলাদেশে কাজের অভিজ্ঞতা একই মনে হচ্ছে। এদেশের সিনেমার ও শিল্পীদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাচ্ছি।’
যে সিনেমাটিতে কাজ করছি এটি অ্যাকশন পলিটিক্যাল। এখানে বিনোদন, ইমোশন সবই আছে। একজন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদের চরিত্রে অভিনয় করছি। যে নিজের জন্যই সবকিছু করে, দেশ নিয়ে কিছুই ভাবে না। বর্ষা ম্যাম আমার বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করেন। এর মধ্যে অনেক নাটকীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশের সিনেমা হিসেবে এটি অন্য লেভেলের কিছু হবে।
বলিউড তামিল তেলেগু সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা দুই দশক ধরে। বাংলাদেশি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ও ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থক্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাষা এবং লোকেশন ছাড়া আমি কোনো পার্থ্যক্য অনুভব করছি না। আমাদের ওখানে ভালো সিনেমা তৈরির চেষ্টা থাকে এখানেও তাই দেখছি। এখানেও সেরা ক্যামেরা, টেকশিয়ানরা কাজ করছেন। আমার বিশ্বাস, অনন্ত জলিল সাহেবের এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সিনেমায় নতুন শুরু হতে যাচ্ছে।
পর্দায় মন্দ মানুষ হিসেবে ধরা দিলেও বাস্তব জীবনে তরুণ অরোরা মানুষ হিসেবে খুবই সিম্পল এবং বিনয়ী বলে জানান। তিনি বলেন, আমি সাধারণ জীবন যাপন করা একজন মানুষ। সবসময় সবকিছু থেকে শেখার চেষ্টা করি। যারা নতুন অভিনয়ে আসতে চায়, তাদের বলতে চাই কোনোকিছু অসম্ভব নয়। সত্যিকারের ইচ্ছে থাকে অভিনেতা হবো কেউ আটকাতে পারবে না। শতভাগ চেষ্টা নিয়মানুবর্তিতা দিয়ে যদি কোনো কাজে লেগে থাকা যায়, তবে অবশ্যই চাওয়া পূরণ হবে। আমার তাই হয়েছে।
তরুণ অরোরা জানান, অভিনেতা বা তারকা হিসেবে তিনি দক্ষিনী মেগাস্টার রজনী কান্তকে আদর্শ মানেন এবং তার পছন্দের অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। তিনি বলেন, রজনী স্যার এতো বড় সুপারস্টার এবং মানুষ তাকে এতো ভালোবাসে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। উনি গাড়ির হেলপার থেকে আজ এই পর্যন্ত এসেছেন। তার এই পরিশ্রম আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। বলিউডের অনেকের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে ‘জাব উই মেট’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে কারিনার ফ্যান হয়েছি। তিনি ভীষণ মানবিক গুণ সম্পন্ন একজন মানুষ। তার সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব।
ঢাকার ভাষার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে তরুণ অরোরার। তবে তিনি মনে করেন, এখানকার সবাই এতো অতিথি পরায়ণ যে ভাষার অসুবিধা তার কাছে খুব বড় সমস্যা মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, সবেমাত্র এখানে তিন দিন কাজ করেছি। আমি মনে করি, ধীরে ধীরে এখনাকার ভাষা বুঝতে পারবো। এখানকার মানুষগুলো খুবই সাপোর্টিভ। বিশেষ করে এখানকার রসমালাই খেয়ে খুব মজা পেয়েছি। এছাড়া এখানকার ফ্রেশ মাছের স্বাদ আমার মুখে লেগে আছে।