চট্টগ্রামের মতো ব্যাটিং উইকেট না হোক অন্তত স্পোর্টিং হলেও টেস্ট বাঁচানোর চিন্তা করতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু এমনি এক উইকেটে খেলা হল যেখানে আড়াই দিনেই হার লেখা হয়ে গেছে স্বাগতিকদের ভাগ্যে। লঙ্কান-স্পিনের বাঁকে বাঁকে ফুটে উঠেছে তামিম-মুশফিকদের অসহায়ত্ব। হারের মুখে টিকে থাকার চেষ্টা না করে কয়েকজন আবার হতে চেয়েছেন অতি-আগ্রাসী। যেন বুঝেই উঠতে পারছিলেন না কী করলে কী হবে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের উইকেট আর ব্যাটসম্যানদের নিবেদন নিয়ে মাহমুদউল্লাহর দিকে ছুটে গেল একের পর এক প্রশ্ন। জবাবে অধিনায়ক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যা বোঝাতে চাইলেন তার অর্থ দাঁড়ায়- টেস্ট ক্রিকেট থেকে ‘ড্র’ শব্দটাই মুছে ফেলতে চায় বাংলাদেশ!
‘যদি গত কয়েকবছরে তাকান, বিদেশের ট্যুরগুলো দেখেন, যেখানে সাকিব ২০০ মেরেছে, মুশফিক ১৫০, তামিম রান করেছে ধারাবাহিকভাবে। এই সময়ে আমরা ঘরের মাঠে ম্যাচ জিতেছি, শ্রীলঙ্কায় জিতেছি। আমার মনে হয়, এ ধরণের বাজিগুলো ধরতেই হবে। না হলে এভাবে টেস্ট খেলে কোন লাভ নেই। ডেড উইকেটে বা ড্রয়ের জন্য খেললে আমাদের ক্রিকেট আগাবে না। সাফল্য আসবে, ব্যর্থতা আসবে। সাফল্য আত্মবিশ্বাস দেবে, আমাদের আরও উন্নতি হবে।’
মিরপুরে স্পিন উইকেটের চাহিদাপত্র দিয়ে স্বাগতিকরা ডেকে এনেছে মহাবিপদ। অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল ব্যাটের কানায় ছুঁইয়ে স্টাম্পে টেনে আনার মতো। হারের মুখ থেকে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করে বীরের বেশে ফেরা টাইগাররা ঢাকায় ততটাই বিবর্ণ। ১১০ রানের পর ১২৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২১৫ রানের হার। আড়াই দিনেই শেষ ম্যাচ। মাহমুদউল্লাহর দল যে একটু বেশি করেই ফলের জন্য খেলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না! শেষে ফলটাই যা উল্টে গেছে!