অর্থ পাচারের দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতকে দুটি মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।
ভার্চুয়াল শুনানিতে রফিকুল আমীনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল নামসর্বস্ব। আসামিরা প্রথমে প্রোজেক্টের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন, তারপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তা স্থানান্তর করা হয়। দুদক ৩৪টি ব্যাংকে এ রকম ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পায়, যেগুলো পরে জব্দ করা হয়। আত্মসাত করা চার হাজার ১১৯ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয় দুই মামলায়।
গত বছর ২৪ অগাস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগ গঠনের মধ্য দিযে এ দুই মামলায় আসামিদের বিচার শুরু করেন। এদিকে দুদকের নোটিসে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেওয়ার মামলায় রফিকুল আমীনকে ইতোমধ্যে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার জজ আদালত।