উইমেনস বিগ ব্যাশ লিগের একটি ঘটনার পর ডেড বলের নিয়ম নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিডনি সিক্সার্স বনাম মেলবোর্ন রেনেগেডস ম্যাচের শেষ বলে।
বুধবারের নাটকীয় ওই ম্যাচে শেষ বলে সিডনি সিক্সার্সের জয়ের জন্য দরকার ছিল তিন রান। ব্যাটসম্যান বলটি ঠিক মতো খেলতে ব্যর্থ হলে চলে যায় শর্টফাইন লেগে। সেখানে ফিল্ডার ছিলেন। বল আসতে আসতে এক হয়ে যায়। ফিল্ডার বল দেন উইকেটরক্ষকের কাছে। রেনেগেডসের উইকেটরক্ষক ইম্মা সেটি ধরেই উল্লাস শুরু করেন। আর দুই ব্যাটসম্যান সেই ফাঁকে আরেক রান নিয়ে ম্যাচ ‘টাই’ করেন!
সবাই উল্লাস করতে থাকলেও বোলার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেন। তিনি ছুটে এসে ডাইভ দিয়ে রানআউট করতে চেয়ে ব্যর্থ হন।
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডেড বলের নিয়ম নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় বলেন, ফিল্ডার বল ধরে উপরে না ফেলে কিংবা মাটিতে ড্রপ না দিয়ে উইকেটরক্ষকের কাছে দেন। তার মানে বল ‘ডেড’ হয়নি।
আইসিসির ২০.২ ধারায় বলা আছে, বল কখন থেমে যাচ্ছে সেটি নির্ধারণ করার ভার সম্পূর্ণরূপে আম্পায়ারের ওপর।
সংশ্লিষ্ট আরেকটি নিয়ম ২০.১.১.১’এ আছে, শেষ পর্যন্ত বোলার কিংবা উইকেটরক্ষকের হাতে বলটি ফেরত আসার পর ডেড হবে।
নিয়মের আরেক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার যখন মনে করবেন ফিল্ডাররা এবং উভয় ব্যাটসম্যান খেলা থেকে বিরত আছেন, তখনই সেটা ডেড বল হবে।’
ডেড বলের এমন কয়েকটি নিয়মের কারণেই মূলত দোটানায় পড়েছে বিগ ব্যাশের দর্শকরা। আসলে কী হয়েছে, সে সম্পর্কে তারা সন্দিহান। অনেকেই মন্তব্য করছেন, নিয়মটি স্পষ্ট নয়।
ক্রিকেটের নিয়মকানুন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) অবশ্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছে, দ্বিতীয় রান নেয়ার সময় বোলার তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান এবং বলের কাছে যান। তার মানে হচ্ছে একজন ফিল্ডার বলের দিকে সচল ছিলেন। অর্থাৎ বলটি ডেড হয়নি।
নাটকীয় ওই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত এক-ওভারে গড়ায়। সেখানেও শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। সিডনি সিক্সার্স দুই উইকেটে রেনেগেডসের কাছে হেরে যায়।