করোনাভাইরাসের মধ্যেই যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে ডেঙ্গুজ্বর। এর ফলে প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এরমধ্যে আশার আলো হিসেবে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান। সেসব অভিযানে ঢাকার সিটি কর্পোরেশন ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করছে।
চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান পরিচালনা ছাড়াও ডেঙ্গু মশার প্রজননস্থল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়েছে এবং মসজিদে-মসজিদে ইমামরা জনসচেতনতা সৃষ্টি ও মশার লার্ভা ধ্বংসে মুসল্লিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
ডেঙ্গুবিরোধী জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাইকিং করা ও ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানানো প্রসঙ্গে অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর বলেন: ডেঙ্গু মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে বহুমুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা আমাদের কাউন্সিলরবৃন্দের নেতৃত্বে এবং তদারকিতে ইতোমধ্যে অঞ্চলের সকল ওয়ার্ডে মাইকিং করেছি এবং তা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও আমরা মসজিদের ইমামদেরকে এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম। আজ জুমার নামাজের সময় ইমামগণ মসজিদের মুসল্লিদের সে বিষয়ে সচেতন করেছেন এবং অনেক মসজিদের ইমামগণ স্বপ্রণোদিত হয়ে ডেঙ্গু লার্ভা ধ্বংসে বারবার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েছেন।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটির এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটা ঠিক যে, শুধু জরিমানা করে কিংবা মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন নাগরিক উদ্যোগ ডিএসসিসি সেই সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো একই উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করি। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ থাকলে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গুও প্রতিরোধ করা সক্ষম হবে। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।