জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক স্বাধীনতার আঘাত বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইচআরডব্লিউ।
এই আইনে বহুল সমালোচিত আইসিটি অ্যাক্টের বেশিরভাগ সমস্যা সৃষ্টিকারী অধ্যায় রাখা হয়েছে বলে এইচআরডব্লিউ এর এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে জানান।
তিনি বলেন, নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হয়রানিতে ভরা এবং আন্তর্জাতিক আইনে সংরক্ষিত দেশটির বাক স্বাধীনতার লঙ্ঘন। এই আইন হচ্ছে সমালোচনামূলক বক্তব্যের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টির অনুমোদন। এর বেশকিছু অধ্যায় আন্তর্জাতিক মানের মুক্ত মত প্রকাশের অন্তরায়।
তিনি এই আইনের সেকশন ২১, ২৫(এ), ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ নিয়ে আপত্তি তোলেন। ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ এই আইন ভঙ্গ করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার সাজা হবে। আইনের আওতায় সর্বোচ্চ সাজা হবে ১৪ বছরের কারাদণ্ড। আইনে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার ও তল্লাশির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে।
সাংবাদিকরা অধ্যায়ের ঘোরতর বিরোধীতা করেছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এডিটর্স কাউন্সিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে বলেছে, এটি সংবিধানে নিশ্চিত করা গণমাধ্যম ও বাক স্বাধীনতার বিরোধী একটি পন্থা হিসেবে কাজ করবে।
এই আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেছেন, বিবৃতিতে তাও তুলে ধরেছেন অ্যাডামস। এই আইন জাতীয় স্বার্থে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি জানি না সাংবাদিকরা কেন এতো সংবেদনশীল হচ্ছেন। সাংবাদিকতা অবশ্যই সংঘাত বৃদ্ধি বা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য নয়।