দিনাজপুরের বিরামপুরে ‘আনাসা’ নামক একটি প্রাইভেট হাসপাতালে অপারেশনের সময় ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এক কথিত চিকিৎসককে বৃহস্পতিবার আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ওই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে সিলগালা করেছে।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামন জানান, উপজেলা বিসকিনি গ্রামের আবু তালেব এর স্ত্রী রেশমা খাতুন বিজলীকে জরায়ুতে সমস্যার কারণে বুধবার সকালে আনাসা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়।
জানা যায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই হঠাৎ করে বিকেলে অপারেশনের কথা বলে। এসময় কথিত ডাক্তার মোছাঃ ফারজানা ইয়াসমিন জলি নিজেই জরায়ু অপারেশন করার কথা বলে রোগীকে অপারেশন থিয়েটরে নিয়ে যায়। সেখানে কথিত ডাক্তার ফারহানা ইয়াসমিন জলি অপারেশন করার সময় রোগীর মৃত্যু ঘটে।
‘রোগীর লোকজন কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেশমার লাশ বের করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্লিনিক ঘেরাও করে ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে।’
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান ও থানা অফিসার ইনর্চাজ মনিরুজ্জামান ঘটনা স্থলে আসেন।
সেখানে অন্যান্য ডাক্তার ও নার্সদের না পেয়ে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করেন। এবং সিলগালা করে দেন।
অন্যদিকে নিহত রেশমার পরিবারের লোকজন ঘটনা জানতে পেরে ছুটে আসে এবং লাশ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
রাতেই রেশমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী বাদী হয়ে ডাক্তার ফারজানা ইয়াসমিন জলি, ডাক্তার খন্দকার মশিহুর রহমান, সামিউন নেছা আদুরী, ও মোরশেদ হোসেনসহ অজ্ঞাত ৩ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে বৃহস্পতিবার সকালে কথিত ডাক্তার ফারজানা ইয়াসমিন জলিকে আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কথিত ডাক্তার ফারজানা ইয়াসমিন জলির কোনো চিকিৎসকের ডিগ্রি’র কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তিনি নার্স থেকে ডাক্তার সেজেছেন।