রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দুই বছর পূর্তিতে ঢাকার জুরাইনে অজ্ঞাত পরিচয় নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। দায়ীদের শাস্তি, নিহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, আহতদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসা এবং দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস ঘোষণার দাবিও জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের মধ্যে নাম পরিচয় না জানা ২৯১ জনকে সমাধিস্থ করা হয়েছে পুরনো ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে। তাদের পরিচয় এখন শুধু কবরের ফলকে ডিএনএ নাম্বার। এইসব নাম্বারেই গোপালগঞ্জের শ্রমিক রাফিজাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা বাবাকে।
ঘটনার দুই বছর পূর্তিতে হতভাগা এইসব গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন দাবি নিয়ে জুরাইন কবরস্থান চত্বরে মিছিলও করেছে তারা। এক শ্রমিক নেতা বলেন, দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে। আরেকজন বলেন, “১৮৫৫ সালের ফ্যাটাল অ্যাকসিডেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী একজন শ্রমিক যদি কর্মস্থলে মৃত্যুবরণ করে। মালিকের অবহেলার কারণে মৃত্যুবরণ করে তাহলে আজীবন তার আয়ের যে টাকা সেই সমপরিমাণ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে, সেই বিধানটা কার্যকর করতে চাই। সেটার পরিমাণ হয় ৪৮ লক্ষ টাকা “
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করারও দাবি জানান অনেকে। স্বজন ও শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি অজ্ঞাত নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সাধারণ মানুষও।