উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর ‘মেহেদী উৎসব’ পালিত হয়েছে। সংগঠনের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লালন সংগীতের শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী ফরিদা পারভীন।
শুক্রবার (৩১ মে) ডিআরইউ’র সাগর-রুনী মিলনায়তনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সংগঠনের সদস্য ও সদস্য পরিবারের হাতে মেহেদী লাগানোর পাশাপাশি ‘হাতে মেহেদী লাগানো প্রতিযোগিতা’য় অংশ নিয়েছেন। মমতাজ হারবাল প্রোডাক্টস এর সৌজন্যে এই উৎসব এবং প্রতিযোগিতায় সেরা দশজন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন লালন কন্যা ফরিদা পারভীন।
মেহেদী উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে ফরিদা পারভীন বলেন, এক সময় বিয়ে, ঈদ কিংবা অন্য কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে মেহেদি গাছের পাতা বেটে মিহি করে হাতে লাগানো হতো। আমাদের ছোটকালে তাই দেখেই বড় হয়েছে। কিন্তু সময় পাল্টেছে। আধুনিকতার এই যুগে মেহেদী লাগানোর মধ্যেও এসেছে দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিকতার ছোঁয়া। তবে বাটা মেহেদী নয়। টিউবেই থাকে মিহি করা মেহেদী। ডিআরইউ’র এই মেহেদী উৎসব কিছুসময়ের জন্য হলেও আমাদের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও জেন্ডার বিষয়ক গবেষক ইমতিয়াজ পাভেল। তিনি বলেন, মেহেদী লাগানোর ক্ষেত্রে একটি শৈল্পিক দিক রয়েছে। এর অঙ্কন পদ্ধতি ও মাধুর্য ফুটিয়ে তুলতে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। অঙ্কন পদ্ধতিতে এর মোটিভগুলো ফুটিয়ে তুলতে হবে।
মেহেদী উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেরা দশজন হলেন, তৌহিদা ইসলাম চুমকি, সাদিয়া আফসানা, নাজনীন আক্তার লাকী, বিলকিস, নার্গিস আক্তার, আফরোজা নাসরীন, আফসানা নূর, প্রজ্ঞা, সামান্থা আহসান ও হোমায়ারা মাহ্মুদা ফারুকী।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সহ-সভাপতি খোন্দকার কাওছার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নারী বিষয়ক সম্পাদক সাজিদা ইসলাম পারুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক জামিউল আহসান সিপু, ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কার্যনির্বাহী সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, ডিআরইউ’র সদস্য দৌলত আকতার মালা, সায়ীদ আবদুল মালিক প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, কল্যাণ সম্পাদক কাওসার আজম ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন।