সরকার আসন্ন পৌর-নির্বাচনকে ডান্ডা-গুন্ডার নির্বাচনে পরিণত করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে পৌরসভা নির্বাচনের আগে বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এছাড়া সরকার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মী দেশের গণগ্রেফতারের অভিযোগ এনে তিনি সরকার বাকশালীয় সরকার কায়েমের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন।
এ সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার বলে কিছু নেই। বিএনপি সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পৌর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এ সংগ্রামে সকলকে সামিল হওয়ারও আহবান জানান তিনি।
বিগত জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার অপপ্রয়াস চালিয়েছিলো অভিযোগ করে তিনি বলেন,‘ গত ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার নিরপেক্ষতার মোড়ক পরার চেষ্টা করেছিলো। কেননা সে নির্বাচনগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগে হয়েছিলো।
তাই ৫ সিটিতেই বিএনপির প্রার্থীরা জয় লাভ করেন। তারা ভেবেছিলো বিএনপি তাদের ফাঁদে পা দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে যাবেনা। কিন্তু পরে কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন। ৫ সিটি কর্পোরেশনের পাঁচটি থেকেই মেয়রদের বরখাস্ত করা হয়েছে। আবার অনেক উপজেলা চেয়ারম্যান-ইউপি চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত, আবার কারও গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এসময় খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের প্রশংসা করে বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ সরকারের দখলদারি ও ন্যক্কারজনক চরিত্র আপনারা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। আপনাদের মাধ্যমেই বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সাংবাদিকরা যেনো নির্বাচনের সঠিক খবর তুলে ধরতে না পারে সেজন্য সরকার নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করছে, আবার কারা কারা নির্বাচনী খবর কাভারেজে কাজ করবে সেটার জন্যও নেতাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।’
বিএনপি নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিতে চাইলেও কোন মিডিয়া মালিক সরকারের ওপর মহলের চাপে রাজি হয়নি বলে উল্লেখ করেন। ফেসবুক টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের খবরদারির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
তবে এদিন সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি বিএনপি চেয়ারপার্সন।