বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ডাক্তারকে পেটালে কিছু হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাক্তার আমিনুল ইসলাম। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে উপজেলা পর্যায়ে এই ধারণার বিস্তারকে বড় অন্যায়, বড় বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ডাক্তার আমিনুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন,
“ফেনীর পরশুরামের উপজেলার ইউএনও এর উপর হামলাকারী ১নং আসামীসহ আরেকজন আদালতে আত্নসমর্পন করছেন। BCS সাধারন ক্যাডারের (ভুল করে যাদের প্রশাসন ক্যাডার বলা হয়) facebook page এর মতে তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এ হামলা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় বিসিএসে, বয়সে ও পড়াশুনায় অনেক সিনিয়র চিকিৎসকরা যখন এলাকার মাস্তান, পাতি-মাস্তান এমনকি পুলিশের হাতে অপদস্ত হন, রক্তাক্ত হন- উপজেলা প্রশাসন তখন ব্যাবস্থা নেয়া দুরের কথা- উল্টা চাপা সুখে উল্লসিত হন। আলোচ্য আসামীদের চেয়ে অনেক লোপ্রফাইলের লোক এ কিছুদিন আগে এক ডাক্তারের ঘাড়ে কুপিয়ে গেছে- প্রশাসন পুলিশ টু শব্দটিও করে নাই।
এই সেদিন সরকারী চাকুরীতে জয়েন করা novice একজনের জন্য পত্রিকায় হেড লাইন, সম্পাদকীয় পাতা, উপসম্পাদকের কলম, সুশীলদের অন্তরাত্মা ”হায় ইউএনও”, ”হায় ইউএনও” বলে যেভাবে সমস্বরে রব তুলেছে, ডাক্তার পিটানোর খবরে তারা ততটাই নীরব ও দিলখুশ ভাব নিয়ে নীরব থাকেন। হয়তো খোজ নিয়ে দেখা যাবে সে ডাক্তার এ UNO’র দশ-পনের BCS সিনিয়র।
উপজেলার প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা অনেক সময় UNOর বাবার বয়সী- তবু UNOরা তাকে নাম ধরে ভাই বা সাহেব ডাকে, একই সময়ে তাদের মধ্যে সুপ্ত ইচ্ছা কাজ করে অন্যসব ক্যাডার যেন তাকে স্যার ডাকে।
পরশুরামের ঘটনায় সাধারন ক্যাডারের লোকেরা এখন এমন উদাহরন তৈরী করবে যেন যত প্রভাবশালীই হোক কেউ আর তাদের অপদস্ত করার সাহস না পায়। একই সঙ্গে ”ডাক্তার পিটালে কিছু হয়না- এ ধারনার পৃষ্টপোষকতাও তারা করে যাবে। এ বড় অন্যায়, বড় বর্নবাদী দৃষ্টিভঙ্গী।”