ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার র মামলা হয়েছিল, তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ মামলাটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে তা শুনানির কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
এ বছরের ১৭ জানুয়ারি এক রায়ে ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
কিন্তু হাইকোর্টের ওই রায়ের পর সাত মাস পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কি না, তা জানতে গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দিন বরাবর একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রিটকারিদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এরপর উপাচার্যের পক্ষ থেকে সে লিগ্যাল নোটিশের একটা জবাব আসে। কিন্তু সেখানে নির্বাচনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেননি মর্মে নিশ্চিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি মামলা করা হয় গত বুধবার। আজ সেই মামলা শুনানির কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্ট।
এদিকে আদালত অবমাননাকর মামলা হওয়ার ৩ দিন পরে গতকাল আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
১৯৯০ সালের ৬ জুন সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভিন্ন ছাত্র সগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় এ নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে নির্বাচন আর হয়নি।