ডাকসু চালু হলেও টিএসসি ভিত্তিক সংগঠনগুলোর বর্তমান নিয়মেই স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার ভিসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত টিএসসি ভিত্তিক সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ডাকসুর অনুপস্থিতিতে টিএসসির সংগঠনগুলো অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। প্রত্যেকটি সংগঠন নিজ নিজ ক্ষেত্র নিয়ে দেশে-বিদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করছে৷ শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, উদার মানসিকতা সৃষ্টি এবং নেতৃত্ব সৃষ্টিতে সংগঠনগুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডাকসু নতুন করে চালু হলেও টিএসসির সংগঠনগুলো যথারীতি নিজেদের মতোই পরিচালিত হবে। টিএসসির সঙ্গে ডাকসুর সাংঘর্ষিক কোনো অবস্থান নেই, থাকবেও না।
আগামী মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ডাকসু নির্বাচন নিয়ে টিএসসি ভিত্তিক সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসময় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী, টিএসসির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, টিএসসির পরিচালক এ এম এম মহিউজ্জামান এবং প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে টিএসসির সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ডাকসু নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে তা সর্বোচ্চ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করতে উপাচার্যকে সবধরণের সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। এছাড়া ডাকসুর বিদ্যমান গঠনতন্ত্র সময়োপযোগী করে সংশোধন ও পরিমার্জনের দাবিও জানান তারা।
সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে জেনে আমরা উজ্জীবিত। এতোটা বছর ডাকসুর নিস্ক্রিয়তায় টিএসসির সংগঠগুলো তার শূন্যতা পূরণ করে যাচ্ছে এবং সহশিক্ষা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নেতৃত্ব বিকাশে অবদান রাখছে।
ডাকসু নির্বাচন হলে টিএসসির সংগঠনগুলের সঙ্গে কিরূপ সম্পর্ক হবে তা জানতে চান নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাও উত্থাপন করেন তারা।
এসব প্রস্তাবনার মধ্যে ছিলো-ডাকসু নির্বাচন যেন সহিংসতা, সংঘাতমুক্ত পরিবেশে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করা, নিয়মিত ও যোগ্যদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা, নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি করা, গবেষণা ও উন্নয়ন সেল, টিএসসির সংগঠনগুলো থেকে প্রতিনিধি রাখা, বাহুশক্তির বলয় থেকে যেন ডাকসুকে বিরত রাখা যায় তার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রভৃতি।
টিএসসি ভিত্তিক সংগঠনগুলোর মধ্যে উপস্থিত ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় চলচ্চিত্র সংসদ, ডিবেটিং সোসাইটি, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ট্যুরিস্ট সোসাইটি, জয়ধ্বনি,পরিবেশ সংসদ, স্লোগান একাত্তর, মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস অ্যাসোসিয়েশন, আইটি সোসাইটি, ক্যারিয়ার ক্লাব, মাইম অ্যাকশন, কালচারাল সোসাইটি, কুইজ সোসাইটি, সাইক্লিং ক্লাব, গবেষণা সংসদ, সাহিত্য সংসদ প্রভৃতি সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং প্রতিনিধিরা।