ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে অপসারণ করে মাহবুবা নাসরীনকে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রক্টর গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট পেপারে আগে থেকে সিল মারা থাকার কারণে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ভোট বর্জন করে।
এ ঘটনায় কুয়েত মৈত্রী হলে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই স্থগিত করা হয় বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সামাদ ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।
ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই সিল মারা প্রায় এক হাজার ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় হল প্রভোস্টসহ প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছিল শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত আসলো।
জাল ভোট যেভাবে দেয়া হয়েছিল তা বর্ণনা করতে গিয়ে হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘রাতে আমরা ২ টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়েছি যাতে আগে থেকে সিল মারা না হয়। কিন্তু দুইটার দিকে সমস্ত গেট বন্ধ করে দেয়া হয় এবং আমাদের সেখানে আর থাকতে দেয়া হয় নি। এরপর সকালে আমরা খালি ব্যালট পেপার দেখতে চাইলেও তা দেখতে দেয়া হয় নি। এ সময় হল প্রভোস্ট শবনম জাহান আমাদেরকে বাধা দেয়। এরপর প্রক্টর স্যার আসলে কিছুক্ষণ পর আমাদেরকে ভোট সুষ্ঠু হওয়ার আশ্বাস দেন।
কিন্তু সোমবার সকালে ভোটকেন্দ্রের পাশে আমাদের রিডিং রুম থেকে প্রভোস্ট ম্যাম বস্তা ভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার সরাচ্ছেন। সেখান থেকে এক বস্তা ব্যালট পেপার আমরা ছিনিয়ে আনি ও ভোট বর্জন করি’।
কুয়েত মৈত্রী হলে ছাত্রলীগ প্যানেলের ব্যানারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ভোট আজই নিতে হবে।