ভোটে অনিয়ম হওয়ায় আবারও ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং ভিসির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে ছাত্রদলসহ ভোট বর্জনকারী সব ছাত্র সংগঠন।
তবে ছাত্রলীগ ভোট বর্জনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে ছাত্রদল অবস্থান নিলেও কিছুক্ষণ পর অবস্থান ছেড়ে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে তারা।
ছাত্রদল বাদে প্রতিদ্বন্দ্বী বাকি প্যানেলগুলো রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। তারা নির্বাচনকে লোকদেখানো, ভোট ডাকাতি এবং প্রহসন উল্লেখ করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করছে। সেই সঙ্গে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করছে তারাও।
দুপুর ২টায় অধিকাংশ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর উপাচার্য বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি হলে শুরু হয় ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট পেপারে আগে থেকে সিল মারা থাকার কারণে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ভোট বর্জন করে। এর ফলে কুয়েত মৈত্রী হলে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই স্থগিত করা হয়।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে অপসারণ করে মাহবুবা নাসরীনকে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার এবং স্বতন্ত্র জোটের অরণি-শাফী প্যানেল ডাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে। একই সাথে নির্বাচন আবারও অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে তারা।