ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে’র (পিআইবি) সদস্যরা নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন।
এখন পর্যন্ত যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাাদ এলাকার আইয়ূব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), আনোয়ারপুর এলাকার মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসূফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২)।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগে দুইটি ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন শতাধিক যাত্রী। তাদের মধ্যে ২৬ জনের অবস্থা গুরুতর।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা-নিশীথা এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেন দুুুটির কয়েকটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম জানান: ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চালছে।
এই দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেলযোগাযোগ ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ১০টার পর আবার স্বাভাবিক হয়।