রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিতর্কিত সম্পর্ক নিয়ে তার জামাই জারেদ কুশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। জারেদ কুশনার স্বেচ্ছায় তদন্ত কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এর মাধ্যমে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিলো না- এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশটির গোয়েন্দাসংস্থার সদস্যরা অনেক দিন ধরে এটি ধারণা করছেন যে, রাশিয়ান হ্যাকাররা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় হিলারি ক্লিনটনকে হারাতে ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে। যদিও রাশিয়া বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সংবাদকে ‘ফেক নিউজ’ বলে অভিহিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। পাশাপাশি এফবিআইয়ের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত চলছে।
ইতোমধ্যে ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিন নিউনসকে এসব তদন্ত কমিটির থেকে দূরে থাকতে দাবি জানিয়েছেন।
ডেমোক্রেটিক হাউজের নেতা ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ডেভিন নিউনস গোপনে হোয়াইট হাউসে গিয়েছেন যার মাধ্যমে তিনি এই তদন্তে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছিলেন যে, নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক কতগুলো সংগঠনের উপর সাইবার আক্রমণ চালায়। ইমেইল হ্যাক করার ঘটনা এরই অংশ হিসেবে ঘটে। শুধু পার্টির ভেতরের খবর নয় নির্বাচন সংক্রান্ত সিস্টেম হ্যাক করারও চেষ্টা করেছিলো হ্যাকাররা। আর এগুলোর পেছনে উদ্দেশ্য ছিলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিততে সহায়তা করা।বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।