জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রতিবাদে এবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে মামলা ঠুকে দিয়েছে দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্য। সোমবার নর্দান ডিস্ট্রিক্ট অব ক্যালিফোর্নিয়া আদালতে মামলাটি করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আর এ নিয়ে মেক্সিকো সীমান্ত জুড়ে প্রাচীর নির্মাণ বিতর্ক যেন আরো জ্বলে উঠলো। গেল শুক্রবার মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ সংগ্রহে কংগ্রেসের অনুমোদন না পাওয়ার জের ধরে এই জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ট্রাম্প।
মামলা করা ১৬ অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, কলোরাডো, হাওয়াই, ইলিনয়, মেইন, কানেটিকাট, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, ডেলাওয়ার, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউইয়র্ক, ওরেগন ও ভার্জিনিয়া। এদের মধ্যে একটি ছাড়া বাকি ১৫টি রাজ্যের গভর্নর ডেমোক্রাট দলের।
জরুরি অবস্থা জারির সুযোগ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাত থেকে অর্থ নিয়ে দেয়াল নির্মাণের কাজে বরাদ্দ করতে পারবেন। যেটিকে তার ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবেই দেখছেন রাজ্যগুলো।
প্রেসিডেন্ট ভবন কোন নাট্যমঞ্চ নয় বলে উল্লেখ করে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জেভিয়ার বেসেরা বলেন, ‘ট্রাম্প জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছে জন্যই তারা আদালতে এসেছেন। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে করদাতাদের এককভাবে অর্থ হরণ করার কোন অধিকার ট্রাম্পের নেই’।
মামলায় জরুরি অবস্থার আওতায় ট্রাম্প যেন আপাতত কোনো কাজ করতে না পারেন, সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করা হয়েছে।
এদিকে দেয়াল নির্মাণ বিতর্কের জের ধরে ইতিহাসের রেকর্ড সংখ্যক টানা ৩৫ দিন বন্ধ ছিল মার্কিন ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজ। দেয়াল নির্মাণের জন্য ৫৭০ কোটি ডলার না পেলে কোনো ধরনের বাজেট নথিতে সই করবেন না বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারির সময় ট্র্যাম্প আবার মেক্সিকো সীমান্ত জুড়ে প্রাচীর নির্মাণের পক্ষে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংকটের মুখোমুখি। এ এলাকা দিয়ে ব্যাপক হারে মাদক, চোরাচালান চক্র, অবৈধ অনুপ্রেবেশ ঘটেছে।’