মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত নতুন এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার রে এবার তার মন্তব্যের বিরোধিতা করে সিনেটে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে চলমান তদন্ত অর্থহীন নয়।
এছাড়া বিশেষ এই তদন্তকাজের দায়িত্বে থাকা সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুয়েলার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি মনে করি না ডিরেক্টর মুয়েলার কোন ভুয়া বিষয়ে তদন্ত করছেন।
এর আগে বুধবার এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় অর্থহীন তদন্ত। দুঃখজনক!’ এ কথার জবাবে এমন মন্তব্য করেন ক্রিস্টোফার রে।
মার্কিন ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান পদে দায়িত্ব নেয়ার আগে চূড়ান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিনেটের জিজ্ঞাসাবাদে রে আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট কখনও তাকে বেআইনি কিছু করতে বললে তিনি পদত্যাগ করবেন।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ভেবে থাকেন এফবিআই পরিচালক হিসেবে আমি সব ক্ষমতা প্রয়োগ করব না, তারা আসলে আমাকে ঠিকভাবে চেনেন না। আমি কখনোই এফবিআইয়ের কর্মকাণ্ড বাস্তব তথ্য, আইন এবং ন্যায়বিচারের নিরপেক্ষ উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন কিছু দ্বারা পরিচালিত হতে দেব না। ব্যস।’
ক্রিস্টোফার জানান, বিশেষ কাউন্সিল এবং রুশ হস্তক্ষেপ বিষয়ক তদন্তের প্রধান রবার্ট মুয়েলারের কাজের প্রতি তিনি পুরোপুরি নিবেদিত এবং তাকে পূর্ণ সমর্থন করেন।
এছাড়া সিনেটের ওই অধিবেশনে ক্রিস্টোফার রে’কে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের রুশ আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ই-মেইলগুলো সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান। তখন সাউথ ক্যারোলাইনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ই-মেইলের বিষয়বস্তু পড়ে শোনানোর পর জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্প জুনিয়র ওই বৈঠকে গিয়ে ঠিক করেছেন কি না।
এর জবাবে রে বলেন, ‘এমন কোন কাজ করার আগে কোন আইনি উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার দরকার ছিল। আমাদের দেশের নির্বাচনে অন্য যেকোন রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তির হস্তক্ষেপের চেষ্টা বা হুমকি প্রদান এমন একটি বিষয়, যে সম্পর্কে এফবিআই অবশ্যই জানতে চাইবে।’
এর আগে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং ট্রাম্প শিবিরের নির্বাচনী প্রচারণায় রুশ সম্পৃক্ততা তদন্তের দায়িত্বে থাকা এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে একটি চিঠির মাধ্যমেই গত ৯ মে হঠাৎ বরখাস্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তখন কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া ইস্যু নিয়ে তিনি যেভাবে কাজ করছেন সেটা ঠিক নয়।