মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গোপন সম্পর্কের অভিযোগ তোলা পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওহিওর কলম্বাসে সাইরেন স্ট্রিপ ক্লাবে পারফর্মেন্সের সময় তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে তার আইনজীবী।
সেখানে মঞ্চেই কাস্টমারদের অযৌন পদ্ধতিতে তাকে ছুঁতে দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনটাই জানিয়েছে তার আইনজীবী মাইকেল অ্যাভেনাট্টি।
বৃহস্পতিবার সকালে এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, কেবলমাত্র জানলাম আমার ক্লায়েন্ট স্টর্মি ড্যানিয়েলকে ওহিওর কলম্বাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে তিনি সেই পারফর্মেন্সটাই করছিলেন যেটা দেশব্যাপি অন্তত ১০০ স্ট্রিপ ক্লাবে এর আগেই করেছেন।
এটা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রণোদিত। এটি বেপরোয়া আচরণের একটি ধারা। আমরা এই ভুয়া অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়বো, এমনটাই বলেন তিনি।
৩৯ বছর বয়সী এই স্ট্রিপারের সত্যিকারের নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। ট্রাম্পের সঙ্গে তার যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়। ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের আগে চুপ থাকার জন্য স্টর্মি ড্যানিয়েলকে অর্থ দেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেল। এই চুক্তি অনুযায়ী ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে কথা বলতে নিষেধ করা হয় ড্যানিয়েলকে।
স্টর্মি ড্যানিয়েলরস তার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই গোপন চুক্তিতে স্বাক্ষর করি এবং অর্থ গ্রহণ করি।
তবে ট্রাম্প-স্টর্মির যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে হওয়া চুক্তিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষর না থাকায় তা অবৈধ বলেও দাবি করেন এই তারকা। যদিও হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা এবং ট্রাম্প নিজেও এই সম্পর্ক বরাবর অস্বীকার করে গেছেন।