চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছে টিকটক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটক।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী টিকটকের প্রধান বাইটড্যান্সের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।

ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, সংস্থাটি আমেরিকান ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সরকারের কাছে সরবরাহ করতে পারে। যদিও বাইটড্যান্স এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এই ছোট ভিডিও তৈরির অ্যাপের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন।

টিকটক জানিয়েছে, তারা গত প্রায় এক বছর ধরে ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাব এবং এমন একটি প্রশাসন রয়েছে যা সত্যের দিকে মনোযোগ দেয় না।

প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বলেছে, আইনের শাসন যেন বিনষ্ট করা না হয় এবং প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীদের সাথে ন্যায় আচরণ করা হয় তা নিশ্চিত করতে বিচারিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে দেয়া আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।

বিবিসির প্রতিবেদক ভিভিয়েন নুনিস জানান, টিকটক এই সপ্তাহেই আইনী ব্যবস্থা শুরু করার আশা করছে।

শুক্রবার একদল চীনা-আমেরিকানও প্রেসিডেন্টের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ উইচ্যাট নিয়ে একই রকম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। উইচ্যাট চীনা সংস্থা টেনসেন্টের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।

টিকটক নাচ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ টিকটক প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মাঝে এর জনপ্রিয়তা প্রবলভাবে বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে অ্যাপটি।

চীনের মুসলিম শিবিরগুলোতে টিনএজদের টিকটক ভাইরাল হয়েছে।

ট্রাম্পের দাবি, চীন এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে ফেডারেল কর্মীদের অবস্থান ট্র্যাক করতে, ব্ল্যাকমেলের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে বা সংস্থাগুলির উপর গুপ্তচর ব্যবহার করতে সক্ষম। চীনা সংস্থাগুলির মালিকানাধীন মোবাইল অ্যাপের বৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রতি হুমকিস্বরূপ।

নির্বাহী আদেশে তিনি দাবি করেছেন, এসব সংগৃহীত তথ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে আমেরিকানদের ব্যক্তিগত এবং মালিকানা সম্পর্কিত তথ্যে প্রবেশের অনুমতি দেবে।

তবে টিকটক বলেছে, তারা কখনোই মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা কর্তৃপক্ষের হাতে দেয়নি।

আসছে নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীনের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান প্রচারের ক্ষেত্রে টিকটক এবং উইচ্যাটের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটাই সর্বশেষ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রই টিকটকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। ভারতও অ্যাপটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এবং অস্ট্রেলিয়াও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।