এখন থেকে যে কোনো কার্ড ব্যবহার করে ট্রাফিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করা যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো.আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেছেন, এতে হয়রানির পরিমাণ কমে যাবে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে ‘পথচারীর করণীয়’ শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মসূচী এবং ‘ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা আদায়’ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার। এসময় তিনি এমন নির্দেশনা দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখন থেকে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকার জন্য চালক ও গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করা হবে না। চালক তার জরিমানার টাকা এখন থেকে অন স্পটে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, ক্যাশ, বিকাশ, রকেট ও অন্যান্য কার্ড ব্যবহার করে পরিশোধ করতে পারবেন।
অন স্পটে টাকা পরিশোধের ফলে চালক বা মালিক হয়রানি থেকে মুক্ত থাকবে। আগে এই টাকা আদায়কালে সীমাহীন অনিয়ম ছিল, দুর্নীতি হতো। দুই হাজার টাকা নেওয়া হলেও অল্প টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হতো। এখন থেকে সেটি আর হবে না।
তিনি বলেন, এতোদিন ইউসিবিএল এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হতো। টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাগজপত্র আটকা থাকতো। টাকা দিতে দেরি হলে আরও ভোগান্তি বাড়তো। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাগজপত্র পাঠাতেও নানা ধরণের বিড়ম্বনা ও হয়রানি হতে হতো। এ সেবা সহজ করার মধ্য দিয়ে ভোগান্তি কমে আসবে।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, এখন যেকোনো কার্ড ব্যবহার করে জরিমানার টাকা সাথে সাথে পরিশোধ করতে পারবেন। এখন থেকে কারও গাড়ির কাগজপত্র জব্দও করা হবে না আর কাউকে হয়রানির মুখেও পড়তে হবে না।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে চালক আটক ও গাড়ি জব্দ করতে ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন: চলন্ত গাড়িতে যদি চালক মোবাইলে কথা বলেন, তাহলে ড্রাইভিংয়ে মনোযোগ থাকে না। মোবাইলে কথা বলা চালকরা অনেক প্রাণহানী ঘটিয়ে থাকে। তাই গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে চালককে আটক করে গাড়ি জব্দ করা হবে।
সড়কের বাম লেন দখল করে দাঁড়িয়ে থাকলে তাদের গাড়িও রেকারিং করতে ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশ দেন কমিশনার।
রেকারিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, রং পার্কিং ও কাগজপত্র না থাকার কারনে গাড়ি রেকারিং করা হতো। রেকারিংয়ের জরিমানার টাকা কর্মকর্তারা হাতে হাতে নগদ হিসেবে নিতো। এখন থেকে নগদ নয়, ই ক্যাশের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে। নগদ টাকা লেনদেন হলে দুর্নীতি ও অসচ্ছতার সুযোগ থাকে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকা শহরে অনেক পথচারিকে হেডফোন কিংবা মোবাইলফোন কানে ধরে রাস্তা পার হতে দেখা যায়। বাচ্চা নিয়ে রোড ডিভাইডার পার হতে দেখেছি। রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে হাত দিয়ে ইশারায় গাড়ি থামানোর সংকেত দিতে দেখেছি। জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করেন না। তাদের বিরুদ্ধেও এখন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।