শ্রীলঙ্কা সফরে টাইগার স্কোয়াডের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য শরিফুল ইসলাম। এ বাঁহাতি পেসার আছেন ১৫ সদস্যের মূল দলেও। প্রথমবার প্রাথমিক দলে ডাক পেয়ে টিকে গেছেন চূড়ান্ত টেস্ট দলেও। অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে অভিষেকের।
ক্যান্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে শরিফুল ছিলেন ১৪ নম্বর খেলোয়াড়। ফলে ম্যাচের মধ্যে মাঠে যেতে হয়েছে তাকে। সতীর্থদের জন্য পানির বোতল, তোয়ালে, হেলমেট হাতে ছুটেছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন খেলোয়াড়দের কাছে।
না খেললেও দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে এ নবীন ক্রিকেটারের। পেয়েছেন টেস্টের স্বাদ। শরিফুল বুঝতে শুরু করেছেন টেস্টের কত রং! সেশনে সেশনে বদলায় উইকেটের আচরণ, দলীয় পরিকল্পনা, ম্যাচের গতি-প্রকৃতি। এতে টেস্টের প্রতি রোমাঞ্চ জাগছে, বাড়ছে খেলার আগ্রহ।
বৃহস্পতিবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ম্যাচের আগে মঙ্গলবার অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। টিম টাইগার্স প্রতিনিধি হয়ে ভিডিও বার্তায়
শরিফুল তুলে ধরেছেন টেস্ট দলে থাকার অভিজ্ঞতা।
‘প্রথমবারের মতো ফোরটিনথম্যান ছিলাম, আর এত কাছ থেকে টেস্ট ক্রিকেট আমি কখনও দেখি নাই। তো আমার জন্য একটু এক্সাইটিং ছিল। টেস্ট খেলাটা আসলে মজার খেলা। প্রতি সেশনে সেশনে মুভমেন্ট চেঞ্জ হয়। একেকরকম মেসেজ পাঠানো হয়। তো আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। মনে হয়নি যে আমি ম্যাচের বাইরে আছি। মনে হয়েছে যে আমি ম্যাচের মধ্যেই আছি, সবসময় ইনফরমেশনের ভেতরেই ছিলাম।’
‘আসলে টেস্ট খেলাটা একটু হার্ড। যে আবহাওয়ায় খেলা হচ্ছে অনেক রোদ ছিলো। পেস বোলারদের একটু পরপর পানি খাওয়ানো, তাদের সাথে কথা বলা, তাদের কাছ থেকে কিছু জানা। সবমিলিয়ে মনে হচ্ছিল যেমন মজার আছে, তেমন ওদের কষ্টও আছে। এটা আসলে খেলার পার্ট। এটা আমাদের হাতে নেই। এটা জয় করেই আমাদের ভালো কিছু করতে হবে।’-বলেন শরিফুল।