চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

টেস্টে ৬ মাসের বিশ্রাম চেয়েছেন সাকিব

বাংলাদেশ লম্বা সময় বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ পায়। সেটিও বছরে খুব অল্পকটা ম্যাচ। আরও সুযোগ মেলা উচিত। তবেই তো উন্নতিটা বেশি করে প্রমাণের সুযোগ মিলবে। ক্রিকেটপ্রেমী থেকে ক্রিকেটার, সর্বস্তরের এই চাওয়াটা অনেকবার তার মুখেও উচ্চারিত হয়েছে। সেই সাকিব আল হাসান আগামী ৬ মাসের জন্য সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম চেয়ে আবেদন করেছেন বিসিবির কাছে। সময়টাতে শুধু রঙিন পোশাকে খেলতে আগ্রহী তিনি।

তবে ক্রিকেট-ক্লান্তি ঘোচাতে ছয় মাসের ছুটি না পেলেও সাউথ আফ্রিকা সফরের দুই টেস্টে সাকিব বিশ্রাম পাচ্ছেন বলে বোর্ডের একটি সূত্র বলছে। সোমবার প্রোটিয়া সিরিজের টেস্ট দল ঘোষণার কথা, একই সময়ে সাকিবের বিষয়টিও বিসিবির তরফ থেকে পরিষ্কার করা হতে পারে।

টেস্ট থেকে সাকিবের অর্ধ-বছরের বিশ্রাম চাওয়ার বিষয়টি প্রথমে সামনে আনে ক্রিকেট সংবাদের ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। বিসিবি কর্তাদের বরাতে খবর দেয় তারা। পরে রোববার দিনভর সাকিব বা বোর্ডের তরফ থেকে চিঠির খবরটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। খানিকটা ধোঁয়াশাও ছিল তাই।

শেষপর্যন্ত বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বিশ্রামের বিষয়ে সাকিবের চিঠি দেওয়ার কথা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করার পর ধোঁয়াশাটুকু কেটেছে। অপেক্ষা চিঠির পর বিসিবির আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ জানার। অবশ্য বোর্ড দেশসেরা পারফর্মারের গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যুতে চুলচেরা আলোচনা সেরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানাতে আগ্রহী।

আসছে ১৬ তারিখে সাউথ আফ্রিকায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। সফরের শুরুর ভাগে থাকছে দুই টেস্টের সিরিজ। সাকিবের চাওয়া পুরো পূর্ণ না হলেও, সূত্রমতে প্রোটিয়া সিরিজের টেস্টে তার না থাকা এখন অনেকটাই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দূরত্বে। কদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের ম্যাচসেরা তিনি। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেই তাকে আবারও দলে চায় বোর্ড।

সাউথ আফ্রিকা সফরেই বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে সাকিবের। চলতি বছর ব্যাটে-বলে উড়ছে তিনি। এবছর ৭ টেস্টে ৬৬৫ রান করার পাশাপাশি ২৯টি উইকেটও নিয়েছেন। আগামী ৬ মাসে বাংলাদেশের আর মাত্র ৪টি টেস্ট খেলার কথা, তাতে সংগ্রহগুলো আরও বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সামনে। সেখানে উল্টো স্বেচ্ছা বিশ্রাম।

সাকিবের মত বছরভর বিশ্বের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ দাপিয়ে বেড়ানো পেশাদার একজন ক্রিকেটার এই দুটি-চারটি টেস্টে না খেলে কতটুকু বিশ্রাম পাবেন সেটাও অবশ্য এখন বড় বিস্ময়ের জিজ্ঞাসা।