আইসিসির অতিরিক্ত বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত সূচিতে সাংঘর্ষিক হতে পারে ভাবনায় আপত্তি জানিয়ে রেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের মনোভাব জেনেও নিজেদের পঞ্জিতে বাড়তি আয়োজন রেখেছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। যা নিয়ে এখন মুখোমুখি অবস্থানে দুই সংস্থা।
সোমবার দুবাইয়ে বোর্ড সভায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। তার মধ্যে আছে অতিরিক্ত দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন। যার একটি হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের পরপরই। সম্ভাব্য ওয়ানডে ফরম্যাটের সেই আসরে অংশ নিতে পারে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ছয় দল। অনেকটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আদলে টুর্নামেন্ট। বাড়তি এই আয়োজন চায় না ভারত।
ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি ২০২৩ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত যে টুর্নামেন্ট পরিক্রমা প্রকাশ করেছে, তাতে প্রতি বছরই থাকবে একটি করে বৈশ্বিক আয়োজন। ওয়ানডে বিশ্বকাপ দুটি, টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ চারটি, সঙ্গে থাকবে বাড়তি দুই আসর। সেটাই নিজেদের দ্বিপাক্ষিক আয়োজনগুলোর সাথে সূচিতে সাংঘর্ষিক হতে পারে বলে মনে করছে বিসিসিআই।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী মনু শ্বনি বরাবর বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরির একটি মেইলের বরাতে ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, ভারত মনে করে এই আয়োজন মাঠে গড়ালে দ্বিপাক্ষিক সূচি নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে দলগুলো। সমস্যায় বেশি পড়তে পারে ভারতই, কারণ প্রায় বছর জুড়েই মাঠে ব্যস্ত থাকে দলটি।
ই-মেইলে রাহুল জোহরির দাবি অনেকটা আলাপ-আলোচনা ছাড়াই ২০২৩-এর পর আট বছরের সূচি ঠিক করেছে আইসিসি। এটা অনেকটা ‘অপরিপক্ব’ এবং দ্বিপাক্ষিক সূচিতে সমস্যা তৈরি করবে।
সোমবারের বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অমিতাভ চৌধুরী। সভায় জোহরির বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করেছেন তিনি। তবে সভায় উপস্থিত বাকী বোর্ড সদস্যরা আশ্বাস চেয়েছেন যেন দ্রুতই শেষ করা হয় সেই টুর্নামেন্ট।
এদিকে বিনা নির্বাচনে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার বন্দোবস্ত হয়ে গেছে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির। নতুন সভাপতি আসার পর সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসন প্রস্তাবিত লভ্যাংশের জন্য আবারও ঝাঁপানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিসিআই। সৌরভ নাকি নিজেও মনে করেন, যা ভারতের প্রাপ্য সেটাই তাদের দেয়া উচিত। যেখানে আইসিসির লভ্যাংশের ৭০ শতাংশ আসে ভারতের বাজার থেকেই!