চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টুম্পা হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তি চায় পরিবার

নির্যাতনের প্রতিবাদে বিচ্ছেদ চাওয়ায় মাদকাসক্ত স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু

নির্যাতনের প্রতিবাদে বিচ্ছেদ চাওয়ায় মাদকাসক্ত স্বামী শাফকাত হাসান রবিন মৃধার ছুরিকাঘাতে নিহত কানিজ ফাতেমা টুম্পার পরিবার আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে আসামি রবিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পরিবার জানিয়েছে ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিয়ে তারা বরিশালে রওনা হয়েছে।

রাজধানীর কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ্যে রবিন পেছন থেকে তার স্ত্রী টুম্পাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আহতাবস্থায় টুম্পাকে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টার পর শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যায় টুম্পা।

টুম্পার ছোট বোন আয়েশা আক্তার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মাত্র দু’মাস আগে নিজের পছন্দেই শাফকাত রবিনকে বিয়ে করে টুম্পা। সপ্তাহ না পেরুতেই স্বামীর হাতে নির্যাতনের স্বীকার হন তিনি। ররিন ছিলেন মাদকাসক্ত। আমার বোনকে সব সময় নির্যাতন করত। রড দিয়ে মারতো। কয়েকদিন আগে গিয়ে দেখি বাথরুমে লুকিয়ে আছে। তখন আমাদের সামনেই রড দিয়ে মারতে আসে।

মাদকাসক্ত ও বেকার স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকায় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় টুম্পা। শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে না চাওয়ায় রাস্তাতেই স্বামীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সে।

প্রত্যক্ষদর্শী টুম্পার খালা নাজমা খাতুন বলেন, ‘টুম্পা সে সময় বলছিল তুমি ভালো হও। আজকে আমি তোমার বাসায় যাব না কাল আস তুমি। কালকে যাব। বলেই বলে টুম্পা চলে যাচ্ছে তখন পেছন থেকে ছুরি মারে।’

বোন আয়শা আক্তার জানান, শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির বিবিএ ফাইনাল ইয়ারে পড়তেন টুম্পা। স্বপ্ন দেখছিলেন লেখাপড়া শেষ করে ব্যাংকার হবেন। সে স্বপ্ন আর পূর্ণ হলো না।

আয়েশা আক্তার বলেন, লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার পর আমরা এখন বরিশালের পথে আছি। আমরা চাই আসামি রবিনের মৃত্যুদণ্ড। আমার বোনকে নির্যাতন করতে করতে শেষ পর্যন্ত ছুরিকাঘাতে মেরে ফেলল।

বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে টুম্পা। পরিবার থাকে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায়। চার বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, নিহত টুম্পার মা জায়েদা খাতুন বাদী হয়ে একটি মামলা ( নং-৭৩) দায়ের করেছেন। আমরা আসামি রবিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।