পলাতক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন তার প্রথম টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তার প্রথম টুইট বার্তাই ছিলো, ‘এখন কি আমাকে শুনতে পাচ্ছেন?’
অ্যাকাউন্টে নিজের প্রোফাইল পরিচিতিতে স্নোডেন লিখেছেন, ‘আগে সরকারের জন্য কাজ করতাম। এখন আমি জনগণের জন্য কাজ করি।’
অল্প সময়ের ব্যবধানেই তার ফলোয়ার দ্রুত বাড়তে থাকে। অ্যাকাউন্ট খোলার ৯ ঘণ্টার মধ্যেই ফলোয়ারের সংখ্যা ৭ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়! কিন্তু এখন পর্যন্ত স্নোডেন নিজে ফলো করছেন শুধু একটা অ্যাকাউন্টকে – মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ-কে।
এই এনএসএ-তে কর্মরত অবস্থায়ই ২০১৩ সালে এই সংস্থা থেকে স্নোডেন বেশকিছু টপ সিক্রেট নথি গণমাধ্যমে ছেড়ে দেন। তার প্রকাশিত তথ্য নিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা গার্ডিয়ান রিপোর্ট করে যে, এনএসএ সরকারের হয়ে লাখ লাখ আমেরিকানের টেলিফোনে আড়ি পাতছে।
এনএসএ’র বৈশ্বিক নজরদারি বিষয়েও বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁস করেন তিনি। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়ে যান এডওয়ার্ড স্নোডেন। যাওয়ার আগে ১৭ লাখ অতি গোপন ডকুমেন্ট ডাউনলোড করে সঙ্গে নিয়ে যান তিনি।
অনেকেরই ধারণা স্নোডেন মস্কোতে গা ঢাকা দিয়ে আছেন।
নিজ দেশের গোপন তথ্য ফাঁস করার কারণে কেউ কেউ তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করলেও অনেকেই তাকে নাগরিক স্বাধীনতার ‘নায়ক’ বলে বিশ্বাস করেন।
স্নোডেন তার আরেকটি টুইট বার্তায় এ নিয়ে লিখেছেন, ‘নায়ক, বিশ্বাসঘাতক – আমি শুধু একজন নাগরিক, যার গলায় আওয়াজ আছে।’
স্নোডেনের আগে সবচেয়ে দ্রুত ১০ লাখ টুইটার ফলোয়ার পাওয়ার রেকর্ড ছিলো সাবেক অলিম্পিয়ান ও রিয়েলিটি টিভি তারকা কেইটলিন জেনারের দখলে; যিনি গত জুনে মাত্র ৪ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ে ১০ লাখ ফলোয়ার পেয়েছিলেন।