তের বছর থেকে উনিশ বছর, এটাকেই বলা হয় টিনএজ। বয়সটা দারুণ। বন্ধুদের আড্ডা, ক্লাস, মান-অভিমান সব মিলিয়ে ভালই কাটে দিনগুলো। কিন্তু ইদানীং বেশ ঝুঁকির মুখে পড়ছে টিনএজাররা। আর তার কারণ হলো যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্লিম হওয়ার চেষ্টা এবং ফাস্টফুড আসক্তি।
টিনএজ-এ সুস্থ থাকার জন্য চাই পারফেক্ট ডায়েট। বাড়ন্ত এই বয়সে শরীরে প্রয়োজন হয় বাড়তি পুষ্টির। এই সময়ে না খেয়ে থাকার প্রবণতা কিংবা অতিরিক্ত খাওয়া, কোনটাই স্বাস্থ্যকর নয়। জেনে নিন টিনএজারদের খাবার কেমন হওয়া উচিত সেই সম্পর্কে।
সকালের নাস্তা
সারা রাত না খেয়ে থাকার পরে সকালের নাস্তায় অবশ্যই ভারী খাবার খাওয়া উচিত। টিনএজ এর একটি ছেলে অথবা মেয়ের সকালের নাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট এর উপস্থিতি থাকতে হবে। দুধের সঙ্গে সিরিয়াল, পাউরুটির সঙ্গে পিনাট বাটার এবং ডিম কিংবা রুটি বা পরোটার সঙ্গে সবজি ভাজি এবং মুরগি হতে পারে আদর্শ সকালের নাস্তা। নাস্তার সঙ্গে এক গ্লাস দুধ অবশ্যই খেতে হবে। কারণ এই সময়ে শরীরের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হয়।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারে ফাস্টফুড এড়িয়ে যেতে হবে। ক্লাস থাকলেও বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যেতে হবে। টিফিনে ভাত, সবজি, মাছ কিংবা মুরগি নিতে পারলে ভাল। যদি শুকনা খাবার নিতে হয় তাহলে মুরগির কিংবা টুনার স্যান্ডউইচ নেয়া যেতে পারে। সাথে অবশ্যই সালাদ এবং সবজি থাকতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কয়েকটি বাদাম থাকলে খাবারটি আরও পুষ্টিকর হয়ে উঠবে।
রাতের খাবার
রাতের খাবারেও অবশ্যই ফাস্টফুড এড়াতে হবে। কারণ দিন শেষে অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত খাবারের ক্যালরি ক্ষয় হওয়ার সুযোগ থাকে না। রাতে লাল চালের ভাত কিংবা লাল চালের রুটির সঙ্গে সবজি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে মাছ কিংবা মাংস খেতে হবে।
খেয়াল রাখা জরুরী
- টিনএজ এর মেয়েদের ক্ষেত্রে অবশ্যই খাবারে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকা জরুরী।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া ডায়েট করা যাবে না। এতে অপুষ্টিতে ভোগার সম্ভাবনা আছে।
- প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার থাকতে হবে। অনলি মাই হেলথ