‘এই পাকিস্তানকে বোঝা বড় জটিল…একদিন সেই খেলে তো আরেকদিন ফ্লপ!’, টুইটারে এক পাকিস্তানি ভক্তের কমেন্টস একরমটাই। আসলেই তাই। এবারের বিশ্বকাপ জুড়ে যে মিডলঅর্ডার নিয়ে ভুগেছে দলটি, সেই মিডলঅর্ডারের কল্যাণেই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেট ৩০৮ রানের দারুন এক সংগ্রহ গড়ল সরফরাজ আহমেদের দল!
লর্ডসে টস জিতেছিলেন সরফরাজ। সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যাটিংয়ের। তার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক প্রমাণ করলেন দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। ওপেনিংয়ে ১৪.৫ওভারে রান এল ৮১!
তবে দুই ছোবলে দুই ব্যাটসম্যানকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান ইমরান তাহির। এর মধ্যে ইমামের ক্যাচ নিয়ে বেশ হইচই। নিজের বোলিংয়ে এমনই এক ক্যাচ ধরেছেন এই লেগস্পিনার যে তা এই বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচ কিনা সেটা নিয়েই এখন যত আলোচনা।
প্রথমে ফেরেন ফখর। তার রান ৪৪। কাকতালীয় ভাবে ৬ ওভার পর যখন ইমাম ফেরেন তার নামের পাশেও ৪৪ রান। দুজনেই আবার তাহিরের শিকার!
দুই ওপেনার ফেরার পর দ্রুত ফেরেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ (২০)। তাকে ফেরান অলরাউন্ডার আন্দিলে ফেলুকোয়ও। এরপর শোয়েব মালিকের জায়গায় দলে ডাক পাওয়া হারিস সোহেলকে নিয়ে মিডলঅর্ডারের ভিত গড়ে তোলেন বাবর আজম। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৮১ রান।
বাবর দারুণ খেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আবারো আউট হন হাফসেঞ্চুরির পর। ৮০ বলে ফেরেন ৬৯ করে। অন্যপ্রান্ত সামলানো হারিস সোহেল বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই পেয়েছেন ফিফটি। একদম শেষদিকে আউট হয়েছেন ৫৯ বলে ৮৯ রান করে! ১৫ বলে ২৩ রানের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলে দলের স্কোর ৩০০ ছাড়াতে ভূমিকা রাখেন ইমাদ ওয়াসিম।
প্রোটিয়াদের হয়ে সেরা বোলার লুনগি এনগিডি। ৬৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪১ রান খরচায় ২ উইকেট পেয়েছেন ইমরান তাহির।