জিতলে সরাসরি কোয়ালিফাই, নাহলে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দুই ম্যাচের দিকে। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে বাঁচা-মরার এমন ম্যাচে অবশ্য বড় সংগ্রহ পেল না মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।
মিরপুরে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে কোয়ালিফাই করা সাকিবের দলের বিপক্ষে ১২৮ রানে থামল মাহমুদউল্লাহ-তামিমদের ইনিংস। মুজিব-সাকিবের ঘুর্ণিতে যেখানে পুরো দল কাবু সেখানে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে লজ্জার স্কোরের হাত থেকে বাঁচিয়েছে তামিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা— ২০ ওভারে ১২৮/৯; তামিম ৫০ বলে ৬৬ (৯ চার ১ ছক্কা)।
আসরে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শেষ চার নিশ্চিত করেছে সাকিবের বরিশাল। খুলনাকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ালিফাই করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চারের জায়গা নিশ্চিত করা দুই দলের পয়েন্ট সমান— ১৩। এক ম্যাচ করে বাকি থাকা খুলনা ও চট্টগ্রামের উভয়ের পয়েন্ট ৮। ৯ পয়েন্ট নিয়ে বরিশালের বিপক্ষে শেষ চার নিশ্চিতের লড়াইয়ে নামছে ঢাকা।
সমীকরণ যেখানে ‘হারলেই ছিটকে যাবার’— সেখানে ব্যাটে ভালো শুরু পায়নি ঢাকা। বরিশালের বিপক্ষে শুক্রবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই তোপের মুখে পড়ে দলটি। সাত রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলীয় পঞ্চাশের আগেই হারান আরও দুজনকে।
মুজিব-সাকিবের ঘুর্ণিতে নাকাল ঢাকাকে আরও ব্যাকফুটে রেখেছে ডুয়াইন ব্রাভো। ক্যারিবিয়ান এই মিডিয়াম পেসার চার ওভারে ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট।
আসরে রান খরায় ভুগতে থাকা মোহাম্মদ নাঈম ওপেনে নেমে করেন ৯ বলে ৬ রান। শফিউলের বলে নাঈম ফেরার পর তিনে নামা জহুরুল ফিরেছেন মুজিবের বলে। শট খেলতে গিয়ে লাইন মিস করা ডানহাতি ব্যাটার করেছেন দুই রান।
৫০ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে রানের গতি চালিয়ে রাখেন তামিম ইকবাল। অপরপাশে, একে একে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (৩), শামসুর রহমান (৩), কাইস আহমেদরা।
দলীয় শতরান পার করে তামিম ফিরলে অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে ঢাকা। সেখানে ২৭ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে ১২৮ রানের সংগ্রহ আনেন শুভাগত হোম।
ঢাকার ৯ উইকেট হারানোর দিনে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সাকিব-মুজিবরা। ৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় জহুরুলকে ফিরিয়েছেন আফগান স্পিনার মুজিব। সাকিব নিয়েছেন একটি উইকেট। দুটি করে উইকেট তুলেছেন পেসার শাফিউল ও ব্রাভো ও রানা।