রাজধানীতে বাইক দিয়ে ছোঁ মেরে ব্যাগ, মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া টানা পার্টি হিসেবে পরিচিতদের ৯৮ শতাংশই মাদকসেবী। এদের কোন সংঘবদ্ধ চক্র নেই, এলাকাভেদে কয়েকজন মিলে এসব কাজ করে থাকেন বলে জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৬ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায় ঢাকাতে ছিনতাইয়ের প্রবণতা বেড়েছে। এটাকে আমরা পজিটিভলি নিয়েছি এবং ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে তৎপরতা বাড়াতে ডিএমপির সকল বিভাগের সমন্বয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণত সংঘবদ্ধ ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে ডিবি অভিযান করে থাকে। কিন্তু বৈঠকের পর আমরা ছিঁচকে চোর, টানাপার্টির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি। এর ফলস্বরূপ ৫৬ জন ছিনতাইকারী আটক করা হয়েছে। যেসব এলাকায় এসব টানাপার্টি বা ছিনতাইকারীরা বেশি সক্রিয় সেসব স্পটগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি।
এসব স্পটে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব ছিনতাইকারীদের কোন গডফাদার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা সাধারনত মাদকসেবী। মাদকের টাকা যোগাড় করতেই তারা এসব ছিনতাই করে থাকে। টানা পার্টির ৯৮ শতাংশই মাদকসেবী।
ছিনতাইয়ের হার বেড়ে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে আব্দুল বাতেন বলেন, একেক সময় ক্রাইমের একের ধরনের ট্রেন্ড ধাকে। এর নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই।
মাদক বেড়ে যাওয়ায় ছিনতাইকারী বেড়েছে কি না জনতে চাইলে আব্দুল বাতেন বলেন, এটা রিসার্চের ব্যপার। ঠিক এই কারণ কি না এমনিতে বলা সম্ভব না।
ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযানে নগরবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে আসবে আশাপ্রকাশ করে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান ডিবির উর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।