ঈদের ছুটি কাটিয়ে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নলীন থেকে ঢাকার মহাখালীতে প্রাইভেটকারে যাচ্ছেন বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরমান হোসেন। অভিযোগ করে জানালেন, “গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ২০০ টাকার ভাড়ার স্থলে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১৩০০শ টাকা! ”
আরমান একা নন। এমন অসংখ্য মানুষ ঈদের ছুটিয়ে কাটিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে সঙ্গী করেই আবার কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন।
সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা গেছে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত। কেবলমাত্র গণপরিবহন চলাচলে আইনশৃঙ্খলার রক্ষা বাহিনীর কড়া দৃষ্টি থাকলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, খোলা পিক-আপ, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে অবাধে যাত্রী পরিবহন করলেও কোন তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।
এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে চালকরা নানা অজুহাত ও মহাসড়কে নানা হয়রানীর অভিযোগ করে জানান, অতিরিক্ত খরচের টাকা ভাড়া হিসাবে যাত্রীদেরকেই বহন করতে হবে। নয়তো পায়ে হেঁটেই তাদের কর্মস্থলে যেতে হবে।
এবিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, আমরা চেকপেস্ট পরিচালনা করছি যাতে গণপরিবহন ও ট্রাকে কোন মানুষ যাতায়াত না করতে পারে । তবে নিজস্ব পরিবহন চলাচলে কোন বাধা দেয়া হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি।