টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর ছয় বছরের শিশু জুয়েল হত্যা মামলায় আব্দুর রহিম নামের একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শওকত আলী চৌধুরী এ রায় দেন।
আদলতে আসামীর উপস্থিতিতে তিনি এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামের মো. হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে ধর্মসভাস্থলের পাশেই শিশু জুয়েলের বাবা শহিদুর রহমান ও মাতা রোজিনা বেগম চায়ের দোকান দেন।
চায়ের দোকানে থাকা শিশু জুয়েল রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান থেকে চলে যায়। পরে রাত ১টার দিকে ধর্মসভা শেষ হলেও জুয়েল ফিরে না আসায় তার পিতা-মাতা ও এলাকাবাসী বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিচুরিয়া গ্রামের গোরস্থানের দক্ষিণ পাশের ধান ক্ষেত থেকে জুয়েলের চোখ উপড়ে ফেলানো এবং রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে অজ্ঞাতনামা আসামী করে জুয়েলের মা রোজিনা বেগম টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আব্দুর রহিম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হামিদুল ইসলামের কাছে শিশু জুয়েল হত্যার ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আব্দুর রহিম বলেন, জুয়েল হাসানের মায়ের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। জুয়েল সব সময় মায়ের কাছাকাছি থাকতো। যার ফলে পরকীয়া সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় রোজিনা বেগমের অজান্তেই শিশু জুয়েলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে।