টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দিনভর আতঙ্ক ছড়ানো বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি বোমা নয় বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার সকালে বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি দেখতে পেয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরে বিকেলে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার করে। তবে এখনও আতঙ্কে রয়েছে পরিবারটি।
বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সাব-ইন্সপেক্টর গোলাম মর্তুজা জানান, আমাদের ইউনিটের ৪ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার করলে দেখা যায় সেটি বোমা নয়। সেখানে ৭টি প্লাস্টিকের পাইপ, ভেতরে ৪টি পেন্সিল ব্যাটারী, মোবাইলে ডিসপ্লে, বিদ্যুতের তার ও পাটের শোলা ছিল। উপরে লাল স্কচটেপ দিয়ে বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি তৈরী করা হয়েছিল।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মামুন ভূঁইয়া জানান, ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার করে। পরে খুলে পাইপের টুকরা, পেন্সিল ব্যাটারি ও পাটের শোলায় স্কচটেপ ছিল। ভয় দেখানোর উদ্দেশে দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনা যে করেছে তাকে খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নন্দনপুর এলাকায় সকালে আব্দুল রাজ্জাকের নির্মানাধীণ ভবনের গেটে চিঠির মাধ্যমে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। টাকা না দিলে আব্দুল রাজ্জাক ও তার বোনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। তারা এসে বিকেলে বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার করে।