টাঙ্গাইলের সখিপুরে নিরীহ ব্যক্তির পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে মির্জাপুরের বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এএসআই রিয়াজুলসহ তিন পুলিশ সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এসময় তাদের তথ্য দিয়ে সাহায্যকারী এক ব্যক্তিও গণধোলাইয়ের শিকার হয়।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাশতৈল ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা পাশ্ববর্তী উপজেলা সখিপুরের ভাতকুড়াচালার ফরহাদ মিয়ার ছেলে বজলুকে দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ মানুষকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য নানা প্রলোভন ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
এতে বজলু রাজী হওয়ায় তাকে নানা ভয়ভীতি দেখায় তারা। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকালে বাঁশতৈল ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে কনস্টেবল গোপাল সাহা, মো. রাসেল, তোজাম্মেল, হালিম ও সোর্স হাসান মিয়া সাধারণ মানুষকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য বজলুকে চাপ প্রয়োগ করে।
এসময় বজলু রাজী না হওয়ায় তাকে পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে তারা। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে পুলিশ সদস্যদের আটক করে রাজাবাড়ি বাজারে নিয়ে যায়। এসময় পালিয়ে যায় তোজাম্মেল ও হালিম নামের দুই পুলিশ সদস্যা। পরে উত্তেজিত জনতা গণধোলই দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে তাদের। উদ্ধার করা হয় মানুষকে ফাঁসানোর জন্য আনা ২৫ পিস ইয়াবা।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সখিপুর এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ। স্থানীয়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে শান্ত হয় উত্তেজিত জনতা।
বিষয়টি আগেই স্থানীয়দের অবহিত করে রাখে বজলু। পুলিশের প্রতিনিয়ত অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছিলো তারা। এভাবে যেন আর কোন মানুষকে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে না পারে তার জন্য অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি তাদের।
এ ঘটনায় সখিপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আইনুল হক বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করেছে। অপর পলাতাক দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।