গতবারের মেয়র, হত্যা মামলায় পলাতক থাকায় এবারের নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনকে বিএনপিও দেখছে তাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে। খান আর সিদ্দিকী পরিবারের প্রভাব থাকে বরাবরই টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে। তবে এবারের পৌরসভা নির্বাচনই শুধু তার ব্যতিক্রম।
সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান ও তার ভাইয়েরা পলাতক থাকায় এবারের প্রার্থী জামিলুর রহমান মিলন। এরআগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দুইবার মেয়র নির্বাচিত হলেও এবার নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন তিনি।
টাঙ্গাইল সদর পৌরসভার আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জামিলুর রহমান মিলন বলেন, মহল্লা বেজ কমিটি করে সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে যে সব সমস্যা আছে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিক চিহ্নিত করে মাষ্টারপ্লানের ভিত্তিতে কাজ করতে চাই।
এরআগে, দু’টি পৌর নির্বাচনের একটিতেও জয় পায়নি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় তাই বিএনপির অবস্থান ধরে রাখার জন্যই এবারের পৌর নির্বাচন অংশ নেয়া। টাঙ্গাইল সদর পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রাথী মাহমুদুল হক শানু বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে জনগণ বলছে নির্বাচনটি সঠিকভাবে হবে কি’না? এ নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারনায় মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও মাঠে আছে । এক কাউন্সিলর বলেন, সাধারণ জনগণ যদি ভালোবেসে দয়া করে একটি বার ভোটটি দেন তাহলে আমি আমার ওয়ার্ডটি ডিজিটাল হিসেবে গড়বো।
নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে প্রস্তুত আছে এ এলাকার ভোটাররাও। একজন ভোটার বলেন, কে কোন দলের সেটার ভাবার কোন দরকার নাই। যে যোগ্য তাকেই আমরা ভোট দিবো।
প্রতীক পাওয়ার পরদিন থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় মুখর টাঙ্গাইল সদর পৌরসভা। এই পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার।
টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে এবারের টাঙ্গাইল সদর পৌরসভা নির্বাচন।