চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টাইগার শোয়েব’সহ সুপারফ্যান অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন পাঁচজন

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাগলভক্ত শোয়েব আলী পাচ্ছেন পুরষ্কার। ভারতের গ্লোবাল স্পোর্টস ফ্যান অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ পুরষ্কার পাচ্ছেন এ টাইগারপ্রেমী। প্রথমবারের মতো পুরষ্কারটি দেয়া হচ্ছে পাঁচ জনকে।

শোয়েবের সঙ্গে আছেন শচীন টেন্ডুলকারের ভক্ত সুধীর কুমার গৌতম, বিরাট কোহলির ভক্ত সুখমুর কুমার, পাকিস্তানের চাচা ক্রিকেট নামে খ্যাত আব্দুল জলিল এবং শ্রীলঙ্কার গায়ান সেনানায়েকে। আগামী ১৪ জুন ম্যানচেস্টারে এ পুরষ্কার তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দিতে সবসময়ই মাঠে উপস্থিত থাকেন শোয়েব। দেশের ক্রিকেট ভালোবাসেন তারা তো বটেই, ক্রিকেটের ন্যুনতম খোঁজ খবর যারা রাখেন সবাই এক নামেই চেনেন তাকে। বাংলাদেশের খেলা মানেই বাঘ সেজে, পতাকা উড়িয়ে, চিৎকার করে টাইগারদের সমর্থন জানিয়ে উৎসাহ দেন। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও টাইগারদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত থাকেন তিনি। ভারত, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, দুবাই’সহ অনেক দেশেই গিয়েছেন শোয়েব।

প্রথমবারের মতো পুরষ্কার পেয়ে বেজায় খুশি শোয়েব। তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই আমার জন্য গৌরবের। খুব ভালো লাগছে। তাও আবার ইংল্যান্ডে আমাকে এ পুরষ্কার দেয়া হবে। তবে এ কৃতিত্ব আমার নয়। কারণ বাংলাদেশ দল আছে বলেই আমি আছি। বাংলাদেশ ভালো খেলে বলেই আজকে আমাকে সবাই চিনেছে।’

অবশেষে টাইগারদের প্রতি ভালোবাসার স্বীকৃতি পেলেন শোয়েব। তবে পুরষ্কার খুব বেশি আহ্লাদিত করেনি তাকে। দল ভালো খেললেই বেশি খুশি হন তিনি, ‘পুরষ্কার পেলে অবশ্যই ভালো লাগে। কিন্তু বাংলাদেশ দল ভালো খেললে আরও বেশি ভালো লাগে। মাঠে যখন জয় পাই, তখনই আমি পুরষ্কার পেয়ে যাই।’

এদিকে, মুখভর্তি সাদা দাড়ি, গায়ে পতাকার রঙ করা পোশাক আর হাতে পাকিস্তানের পতাকা। ক্রিকেটবিশ্ব পাকিস্তানি চাচা বা জলিল চাচা হিসেবে চেনে তাকে। চাচা বলে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম চৌধুরী আবদুল জলিল। গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সবচেয়ে পাগল সমর্থক। সম্মানজনক ‘গ্লোবাল স্পোর্টস ফ্যান অ্যাওয়ার্ড’ পাবেন তিনিও।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার পর চাচা বলেছেন, ‘প্রায় পাঁচ দশক ক্রিকেট উন্মাদনায় ডুবে থাকার পর আমি আমার প্রথম বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছি। আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি। এটি আমার জন্য একটি আবেগঘন মুহূর্ত এবং আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি আমার পরিবার এবং সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ দিতে চাই।’

পাকিস্তানের শিয়ালকোট থেকে উঠে আসা এই চাচা ১৯৬৯ সালে লাহোরে প্রথম পাকিস্তানের ম্যাচ দেখেন। তারপর থেকেই গত ৪৬ বছরে দেশে-বিদেশে পাকিস্তানের ৩০০’র বেশি ম্যাচে উপস্থিত থেকেছেন তিনি।