ক্যারোল ব্যাসকিন এবং তার স্বামী জানিয়েছেন, নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘টাইগার কিং’ নির্মাতারা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। শুধু তাই না, ‘টাইগার কিং’ এর প্রিমিয়ারের পর থেকে অপরিচিত নম্বর থেকে মৃত্যুর হুমকিও পাচ্ছেন তারা।
নেটফ্লিক্স প্রেমীদের আলোচনায় এখন সাত পর্বের মিনিসিরিজ ‘টাইগার কিং: মার্ডার, মেহেম অ্যান্ড মাডনেস’। ২০ মার্চ সিরিজটির প্রিমিয়ার হয়েছে। চিড়িয়াখানা রক্ষক জো এক্সোটিকের জীবনের ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই সিরিজটি।
মূলত জো এক্সোটিকের সঙ্গে বহু আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিলো ক্যারোল ব্যাসকিনের। তারা দুজনেই আলাদা আলাদা দুটি চিড়িয়াখানা পরিচালনা করেন। ব্যবসায়িক কারণেই তাদের এই দ্বন্দ্ব। দুজন দুজনের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে থানা পুলিশও করেছেন বহুবার। সর্বশেষ ক্যারোল ব্যাসকিনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বর্তমানে ২২ বছর মেয়াদে জেলখানায় সাজা ভোগ করছেন জো এক্সোটিক।
ক্যারোলের অভিযোগ, জো এক্সোটিকের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতেই নেটফ্লিক্স ‘টাইগার কিং’ সিরিজটি নির্মাণ করেছে। কারণ, এই সিরিজ নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর সমস্ত দোষ চাপানো হয়েছে তার উপর।
শুধু তাই না, মার্চে নেটফ্লিক্সে সিরিজটি আসার পর জোর প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন এতোটাই বেড়েছে যে, অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় জো এক্সোটিকের মুক্তি দাবি করছেন।
এক সাক্ষাতকারে ক্যারোল ব্যাসকিন বলেছেন, মানুষ সিরিজটি দেখছে কিন্তু আসল বিষয়টাই বুঝতে পারছে না। বাঘ শাবকদের অপব্যবহার করা হয়েছে এখানে। এছাড়া নেটফ্লিক্সের নির্মাতারা অসততার পরিচয় দিয়েছেন।
ক্যারোলের স্বামী হোয়ার্ড বলেন, তাদের সঙ্গে যেই প্রতারণা করা হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নাক গলিয়েছেন নির্মাতারা। এটা অন্যায়।
ক্যারোল ব্যাসকিনের সাবেক স্বামী ১৯৯৭ সাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। সিরিজে দেখানো হয়েছে ক্যারোল ব্যাসকিনের বিরুদ্ধে তার সাবেক স্বামীকে বাঘের খাবারে পরিণত করার অভিযোগ এনেছেন জো এক্সোটিক।
বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ক্যারোল ব্যাসকিন। ক্যারোল বাসকিন জানান, নেটফ্লিক্সে সিরিজটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি ভয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, করোনাভাইরাসের এই লক ডাউনের মাঝেও মানুষজন তাদের বাড়ির বাইরে ভিড় করছেন এবং ড্রোন দিয়ে ঘরের ভেতরে দেখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। -পিঙ্ক ভিলা