শুরু হয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ‘আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯’। দীর্ঘ দেড়মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ১০ দলে সবাই একে অন্যের সঙ্গে খেলবে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে গড়া দারুণ একটি দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ খেলতে গেছে বাংলাদশ দল।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম খেলা ২ জুন লন্ডনের দ্য ওভালে। টাইগারদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ সাউথ আফ্রিকা। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ৮টি ভেন্যুতে ঘুরে ঘুরে বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বের ৯ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিক উন্নতি চোখে পড়ার মতো। ঘরের মাঠের ত্রিদেশীয় সিরিজ, আবুধাবিতে এশিয়া কাপ, নিদাহাস ট্রফি এবং বিশ্বকাপের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে প্রথম কোনো সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তাই বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাসে একেবারে তুঙ্গে রয়েছে মাশরাফি বাহিনী।
বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিল ১৯৯৯ সালে। প্রথম অংশগ্রহণ ছিল স্বপ্নের মতো, সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল, জিতেছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও। এছাড়া ২০১৫ বিশ্বকাপে দারুণ সাফল্য পায় মাশরাফিরা, প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে।
সাম্প্রতিক ফর্ম ও বিশ্বকাপের গত আসরগুলোতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে আশাবাদী হওয়াই যায় বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের বর্তমান দলটিকে অনেকেই ১৯৯৬ সালের শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে তুলনা করছেন। অর্জুনা রানাতুঙ্গার নেতৃত্বে সেবার বিশ্বকাপ জিতে চমকে দিয়েছিল পুরো বিশ্বকে। আসরে চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলতে চায় বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার কমতি নেই টাইগারদের মধ্যে, তাই চাপমুক্ত হয়ে খেললে যেকোনো ফলাফলই সম্ভব।
আমাদের আশাবাদ, এবারের বিশ্বকাপের আয়োজন সুন্দর হোক সেইসঙ্গে টাইগাররা বয়ে আনুক অনন্য উচ্চতার এক সাফল্য।