অনেকটা সুপারসনিক গতিতে মাদ্রিদ ছেড়েছেন। নয় বছরের আবাস, প্রিয় বাড়িটা বেঁচে স্পেনের সঙ্গে শেষ বন্ধনটুকুও ছিন্ন করেছেন। কিন্তু কর ফাঁকি-কর্ম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্পেন-অতীত হতে দিচ্ছিল না। অবশেষে বড় অঙ্কের জরিমানা দিয়েই সেই অধ্যায়ও অতীতের গর্ভে ঠেলে দিতে প্রস্তুত সিআর সেভেন।
কর ফাঁকির মামলায় জরিমানার সঙ্গে জেল শাস্তির ভয়ও ছিল পর্তুগিজ অধিনায়কের। হয়েছেও সেটাই। ১৯ মিলিয়ন ইউরো গচ্চা দিয়ে সব অভিযোগের সমাধান টানছেন তিনি। সঙ্গে দুবছরের স্থগিত জেল দণ্ডাদেশও থাকছে তার নামের পাশে।
স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে রোনালদোর নতুন ঠিকানা এখন ইতালির জুভেন্টাস। স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ তাতেও পিছু ছাড়েনি তার। এর মাঝেই রোনালদোর সঙ্গে সমঝোতা হয় সংস্থাটির কর্তৃপক্ষের। যাতে ওঠা অভিযোগের দায় মেনে নিয়ে সমঝোতার রাস্তায় হেঁটেছেন সময়ের মহাতারকা।
সেজন্য ১৯ মিলিয়ন ইউরো তথা, ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার কাছাকাছি জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছেন রোনালদো। সঙ্গে দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ডাদেশ শাস্তিও মেনে নিয়েছেন। যদিও জেলে যেতে হবে না তাকে। স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া দুই বছর বা তার কম সময়ের জেল শাস্তি প্রথমবার মিললে কাউকে জেলে যেতে হয় না। বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসিকেও যেমন কর ফাঁকির মামলায় একই অবস্থায় পড়েও জেলে যেতে হয়নি।
রোনালদোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইমেজ স্বত্ব গোপন করে কর ফাঁকি দেয়ার। যা ১৪.৮ মিলিয়ন ইউরো পরিমাণের। সেটার সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে জরিমানাও।
সবকিছুর পরও একটু যদি-কিন্তু ছিল। সমঝোতা হয়েছিল রোনালদো ও স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষের মধ্যে। ঐক্যমত্যে স্থির ছিল দুপক্ষ। কাগজে-কলমে সব মিটমাট হয়ে যাওয়া বাকি ছিল। স্পেনের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ সমঝোতা পত্রে সই দিলেই কেবল সেটা পূর্ণাতা পেত।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম জানাচ্ছে, ঝামেলার এই অধ্যায় এবার একেবারেই পেছনে ফেলতে যাচ্ছেন রোনালদো। কেননা ওই সমঝোতা পত্রে অনুমোদন দিয়েছে স্প্যানিশ ট্রেজারি বিভাগ। দুপক্ষের আইনজীবীরা সমঝোতা চুক্তিতে সইও করে ফেলেছেন বৃহস্পতিবার।