জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ জয়ললিতা জয়রামের মৃত্যু নিয়ে চলে আসা সন্দেহ, বিতর্ক এবার জোরালো হলো মাদ্রাস হাইকোর্টের এক প্রশ্নে। ‘সন্দেহ থাকা সত্যেও’ তামিল নাড়ুর প্রয়াত এই মুখ্যমন্ত্রীর মৃতদেহ কেনো উত্তোলন করা হবে না?, জানতে চেয়েছে আদালত। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারসহ অন্যান্যদের কাছে জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার নোটিশ জারি করেছে বিচারক এস বিদ্যানাথান এবং পার্থিবানের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ।
জ্বর ও ডিহাইড্রেশনের মতো অসুস্থতাজনিত কারণে গত ২২ সেপ্টেম্বর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক অভিনেত্রী এবং পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা জয়ললিতা। এরপর দীর্ঘ ৭৫ দিন এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এসময় তার শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত বিষয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। পরে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে ৬৮ বছর বয়সে ডিসেম্বরের ৫ তারিখ তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর একদিন পর ম্যারিনা বিচের এমজিআর মেমোরিয়ালে সমাধিস্থ করা হয় তাকে। এই মৃত্যু নিয়ে ‘আমাদেরও সন্দেহ রয়েছে’ জানান বিচারকরা।
জয়ললিতার পার্টি অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগামের (এআইএডিএমকে) কর্মী পিএ জোসেফের জনস্বার্থে মামলার (পিআইএল) প্রেক্ষিতে আদালত বলে, আমরা পত্রিকায় দেখেছি মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তিনি খাচ্ছেন, স্বাক্ষর করছেন এবং মিটিংয়েও বসছেন। হঠাৎ করেই তিনি মারা গেলেন!
কোন রেভিনিউ ডিভিশন অফিসার (আরডিও) মৃতদেহ দেখেনি, কোন মেডিকেল রেকর্ডও রক্ষিত হয়নি উল্লেখ করে বেঞ্চের প্রশ্ন, “কেন, অন্তত তার মৃত্যুর পরেও কোন প্রমাণ দেয়া হলো না?”
জানুয়ারির ৯ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
জয়ললিতার চিকিৎসা সংক্রান্ত রেকর্ড পর্যালোচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের জন্য হাইকোর্টে আর্জি জানায় জোসেফ। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় জয়ললিতার মৃত্যুর পর ‘বাড়াবাড়ি রকমের গোপনীয়তার’ জন্য প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তামিল অভিনেত্রী গৌতমী তাদিমালা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এবিপি লাইভ