হেফাজতে ইসলামের নৈরাজ্য মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন: হেফাজত ইসলাম নামে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশের বিদ্যমান স্বস্তি ও শান্তি বিনষ্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অব্যাহত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা সহনশীলতার সকল মাত্রা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন: জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উস্কানিদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করে এদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের শুধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকই নন, তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন মন্ত্রীও বটে। রাষ্ট্রের আইন-কানুন ও সংবিধানিক দায়িত্ব পালনে তিনি শপথ নিয়েছেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা দেশব্যাপী তাণ্ডব চালিয়েছে বা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি কোনো ব্যক্তির অনৈতিক কার্যকলাপ ঢাকতে গিয়ে ইসলামের অপব্যাখ্যা করে নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাদের কেন দেশের প্রচলিত আইনে পদক্ষেপ ও বিচারের আওতায় আনার কথা না বলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কথা বলা হবে? এতে করে কি নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা আবারও এ ধরণের কাজে সাহস অর্জন করছে না? এছাড়া বিষয়টি ভেবে দেখা একান্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।
রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের জানমাল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থাপনা ও সম্পদ রক্ষার জন্য নানা আইন আছে, তা প্রতিপালন করাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আছে। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলেই যেকোনো নৈরাজ্য ঠেকাতে তারা প্রস্তুত বলে আমরা মনে করি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও সাংবিধানিকভাবে বাধ্য দায়িত্ব পালনে, কিন্তু বিষয়গুলো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার ঘোষণা আসলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়ে।
আমাদের আশাবাদ, দেশের মধ্যে ঘটে যাওয়া যেকোনো ধরণের নৈরাজ্য দমনে আইনের পথে সেগুলোকে মোকাবিলায় সব দায়িত্বশীলরা মনোযোগী হবেন।