বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে জোড়া ইনজুরিতে কাবু অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ চারের ম্যাচে অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস ও ব্যাটসম্যান উসমান খাজার খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুজনের কভারআপ হিসেবে ডাকা হয়েছে দুই নতুন খেলোয়াড়কে।
এর আগে ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে ছিটকে যান ব্যাটসম্যান শন মার্শ। তার জায়গায় দলে নেয়া হয়েছে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে।
শনিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ রানে হারা ম্যাচে চোট পান স্টয়নিস ও খাজা। ইনজুরি আক্রান্ত স্টয়নিসের জায়গা দলে ডাকা হয়েছে আরেক অলরাউন্ডার মিশেল মার্শকে। আর খাজার জায়গায় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড ডাক পেয়েছেন।
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি কারণে ব্যক্তিগত ৬ রানের সময় মাঠ ছাড়তে হয় খাজাকে। পরে শেষদিকে আবার ব্যাটে নামলেও ১২ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি। রোববারই তাকে স্ক্যানারের নিচে যেতে হবে। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, খাজাকে নিয়ে তিনি খুব একটা আশাবাদী নন। তার ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে খবর অজি মিডিয়ার।
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় বল থ্রো করতে গিয়ে ডান পেশিতে টান লাগে স্টয়নিসের। যার ফলে তিন ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। পরে ব্যাট হাতে আউট হন ১২ রান করে।
বিশ্বকাপ চলাকালীনই আরেকবার ইনজুরিতে পড়েছেন স্টয়নিস। সেসময়ও তার কভারআপ হিসেবে মিশেল মার্শকে ডাকা হয়েছিল। পরে ফিট হয়ে ওঠায় মার্শ ফিরে যান। খাজার মতো স্টয়নিসকেও স্ক্যানারের তলায় যেতে হচ্ছে।
দলে ডাক পাওয়া দুই ক্রিকেটার মার্শ এবং ওয়েড ইংল্যান্ডেই ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া এ দলের হয়ে খেলছেন তারা। রোববার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের ম্যাচেও ছিলেন দুজনে।
অজি ‘এ’ দল চার ওয়ানডে ম্যাচের চারটিতে জিতেছে। ইংল্যান্ড সফরে দারুণ ছন্দে আছেন ওয়েড ও মার্শ। চার ওয়ানডে ইনিংসে ৩৫৫ রান করেছেন ওয়েড, যার মধ্যে ৪৫ বলের একটি সেঞ্চুরিও রয়েছে। যেটা আবার লিস্ট এ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে দ্রুততম।
ওয়েডের চেয়ে কম যাচ্ছেন না মার্শও। চার ম্যাচে মিডলঅর্ডারে তিনিই ছিলেন আসল প্রাণ। চার ম্যাচেই অপরাজিত থেকে খেলেছেন ৪০, ২৯, ৫৩ ও ৪ রানের ইনিংস। ওয়েড-মার্শ জাতীয় দলে ফেরায় ‘এ’ দলের জন্য ডাকা হয়েছে জো বার্নস ও অলরাউন্ডার মাইকেল নেসারকে।