হারূন উর রশীদ: জলদস্যু আতঙ্কে মেঘনায় ইলিশ ধরতে যেতে পারছে না ভোলার জেলেরা। প্রতিদিনই জলদস্যুরা অপহরণ করছে জেলেদের। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দু’এক জনকে উদ্ধার করলেও বেশিরভাগ জেলেই ঘরে ফিরছে মুক্তিপণ দিয়ে।
কেউ কেউ মারাও যাচ্ছে জলদস্যুদের হাতে। ইলিশ আহরণ স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে জেলেরা।
বিবি জান্নাত মনপুরার চর ফয়েজউদ্দিন গ্রামের কামাল মাঝির স্ত্রী। গত বছর পয়লা অক্টোবর মেঘনায় ইলিশ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের গুলিতে মারা যান কামাল মাঝি। সেই থেকে অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার। শুধু জান্নাত নয়, ভোলার উপকূলীয় অঞ্চলে এ রকম আরো বহু জেলে জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়েছেন।
হাতিয়া ও ভোলার অন্তত ১১টি জলদস্যু বাহিনী এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে । জলদস্যুরা প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। মুক্তিপণ না পেলে চালাচ্ছে নির্যাতন। সবচেয়ে বেশি অপহরণের ঘটনা ঘটছে জেলার মনপুরা, চরনিজাম ও ঢালচর এলাকায়।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান বলেন,জলদস্যু দমনে কোস্টগার্ড তৎপর রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ভোলায় ৩ লাখেরও বেশি জেলে রয়েছে। এর মধ্যে মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত জেলার সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার।