দেশের জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে আগামীকাল সোমবার থেকে প্রয়োগ করা শুরু হবে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন। পরদিন মঙ্গলবার থেকে সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে দেওয়া শুরু হবে কোভ্যাক্স উদ্যোগ থেকে পাওয়া মডার্নার ভ্যাকসিন।
আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদফতরের ভ্যাকসিন কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকের মধ্যেই সারাদেশের ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলোতে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। আর গতকাল (শনিবার) রাতেই সিটি করপোরেশনের ভেতরের ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলোতে মডার্নার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, কাল (সোমবার) থেকে সারাদেশে সিনোফার্ম এবং পরশু (মঙ্গলবার) থেকে মডার্নার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে পারব।
শামসুল হক বলেন, আগামী ১৩ জুলাই থেকে মডার্নার ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সব সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি সিনোফার্মের ভ্যাকসিন সারাদেশের সব জেলা এবং উপজেলায় আগামীকাল থেকে সাধারণ মানুষ নিতে পারবেন। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের ভ্যাকসিন দিতে আগেই আমরা সিনোফার্মের ভ্যাকসিন পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এখন যেহেতু গণ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হচ্ছে, তাই জেলাগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফাইজারের যে এক লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছিলাম, সেগুলো দিয়ে আমরা চারটি মেডিকেল কলেজ এবং তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালসহ ঢাকার মোট সাতটি কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু করেছি। এই সাতটি হাসপাতালে এখন ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যক্রম চলবে। এই কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে তারপর এসব কেন্দ্রে মডার্নার ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু হবে। তবে ঢাকার সাতটি হাসপাতাল বাদে বাকি ৪০টি কেন্দ্রে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন কার্যক্রম আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। ১৩ তারিখ থেকে সেগুলোতে মডার্নার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
প্রবাসীদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীদের শুধুমাত্র ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন থেকে সারাদেশের যেকোনো মেডিকেল কলেজ থেকেই তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
শামসুল হক আরও বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়াশোনা করেন। তাদের ভ্যাকসিন এখনই প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুবই অল্পসময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।