করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় দেশে দেশে শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতি বন্ধ রয়েছে। তবে নানা প্রতিকুলতার মাঝেও অনেক দেশের মতো অনলাইনে পাঠদান ও পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
স্কুলটি বাংলাদেশের জাতীয় কারিকুলাম অনুযায়ী সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে পিএসসি, জেএসসি,এসএসসি ও এইচএসসিসহ সকল পাবলিক পরীক্ষা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ ঘণ্টা কারফিউ ও লকডাউনের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শিক্ষকরা উৎসাহের সাথেই অনলাইন এডুকেশনে সম্পৃক্ত হয়েছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হামদুর রহমান।
দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত অভিজ্ঞ এ শিক্ষক বলেন, অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রতিদিন কিছু সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার টেবিলে বসা উচিৎ। দীর্ঘদিন পড়াশুনা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে পড়াশুনার প্রতি শিক্ষার্থীদের অনীহা আসতে পারে। তাই নানা প্রতিকূলতার মাঝেও ছাত্রছাত্রীদের নিরবিচ্ছিন্ন পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
কথা হয় প্রতিষ্ঠানের ৯ম শ্রেণির ছাত্র আহমেদ আমিনুল ইসলাম রতন ও একই শ্রেণির ছাত্রী মুনতাহা বিনতে জামানের সাথে।
তারা বলেন, ঘরে বসে ক্লাস করতে পেরে তারা উপকৃত হচ্ছে। পড়ালেখার জন্য এ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করছেন তারা। স্কুল কতৃপক্ষ ও শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা শিক্ষার্থীরা।
চলমান বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্ম যাতে অন্যদের থেকে পিছিয়ে না পড়ে সে কথা বিবেচনা করেই আমরা অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছি-বলছিলেন স্কুল পরিচালনা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার আবুল কালাম আজাদ।
তবে এ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে অর্থের প্রয়োজন। সৌদি আরবে ২৪ঘন্টা কারফিউ ও লকডাউন থাকায় অভিভাবকরা নিয়মিত চাকরি করতে পারছেন না। অনেক কোম্পানিই তাদের কর্মচারিদের নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে পারছে না। ফলে অভিভাবকরা আর্থিক সংকটে রয়েছেন। তারা নিয়মিত টিউশন ফি দিতে পারছেন না। প্রবাসে এশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো টিউশন ফি এর অর্থে চলে। এমতাবস্থায় টিউশন ফি আদায় না হওয়ায় প্রবাসের এ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে যেতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন স্কুল চেয়ারম্যান।
কোভিড ১৯ এর এ মহাদুর্যোগে প্রবাসী কোমলমতি শিশুদের কথা বিবেচনা করে আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসবে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেদ্দায় চ্যানেল আই অনলাইনকে এমন প্রত্যাশার কথা জানান সৌদি প্রবাসীরা।