জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় এবার ৯টি সাধারণ বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডের মিলিত পাসের হার ৮৭.৯০ শতাংশ। এর মধ্যে সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৫৮ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ৮৯.৭৭ শতাংশ।
গত বছর মোট পাসের হার ছিল ৮৫.৮৩ শতাংশ, যা এ বছর বেড়েছে ২.০৭ শতাংশ। এর মধ্যে গত বছরের তুলনায় পাসের হার সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ২.৩০% এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ০.৭৩% বেড়েছে।
সার্বিক ফলাফলে পাসের হার: ঢাকা বোর্ডে ৮২.৭২%, রাজশাহী বোর্ডে ৯৪.১০%, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৮.৮০%, যশোর বোর্ডে ৯১.০৮%, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২.৯৩%, বরিশাল বোর্ডে ৯৭.০৫%, সিলেট বোর্ডে ৯২.৭৯, দিনাজপুর বোর্ডে ৮৩.৯২%, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৭.২১% এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ৮৯.৭৭%।
এ বছর মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাস ৫ হাজার ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানে, একটিও পাস নেই ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে।
এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পাসের হার ৯৫.৫৫%।
ওয়েবসাইট ও এসএমএসে যেভাবে জানা যাবে পিইসি-জেএসসি’র ফলাফল
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড
অংশ নেয়া মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২১ হাজার ৫৯১ জন, যা গত বছর ছিল ২২ লাখ ১৬ হাজার ৯৬১ জন। পাস করেছে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৮ জন, গত বছর পাস করেছিল ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৫১৮ জন। অর্থাৎ বেড়েছে ৫৫ হাজার ২০০ জন।
এ বছর পাসের শতকরা হার ৮৭.৫৮, গত বছর যা ছিল ৮৫.২৮, বেড়েছে ২.৩০ শতাংশ।
৯ সাধারণ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে মােট ৭৬ হাজার ৭৪৭ জন, ২০১৮ সালে এটি ছিল ৬৬ হাজার ১০৮ জন, অর্থাৎ বেড়েছে ১০ হাজার ৬৩৯ জন।
শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩ হাজার ৪০০টি। গত বছর সংখ্যাটি ছিল ৩ হাজার ৪২টি। অন্যদিকে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪টি, যা গত বছর ছিল ২০টি। এবার মােট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজান ১৮৫টি, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৯৬১টি, বেড়েছে ২২৪টি।
মােট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২২৪টি, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৪৫টি।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
অংশ নেয়া মোট পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৪২ জন, যা গত বছর ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ২০৮ জন এ বছর কমেছে ১ হাজার ৭৪৬ জন। তবে পাসের সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ২৪২ জন। এ বছর পাস করেছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৩ জন, গত বছর করেছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩১১ জন।
পাসের হার ৮৯.৭৭ শতাংশ, গত বছর ছিল ৮৯.০৪ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর পাসের হার বেড়েছে ০.৭৩%।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬৮২ জন, ২০১৮-তে ছিল ১ হাজার ৯৮৭ জন। এ বছর কমেছে ৩০৫ জন।
শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৩ টি, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৭১৭টি, বেড়েছে ১১৬টি। শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৯টি, গত বছর ছিল ২৩টি।
মােট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৯০টি, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ১১৭টি, কমেছে ২৭ টি। আর মােট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৫৮টি। এ বছরও সংখ্যাটি অপরিবর্তিত রয়েছে।